শনিবার,

২০ এপ্রিল ২০২৪,

৭ বৈশাখ ১৪৩১

শনিবার,

২০ এপ্রিল ২০২৪,

৭ বৈশাখ ১৪৩১

Radio Today News

কাতারে বকেয়া বেতনের দাবিতে বিক্ষোভ, বাংলাদেশিসহ অভিবাসী শ্রমিক বহিষ্কার

রেডিওটুডে রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১৭:২৩, ২৫ আগস্ট ২০২২

আপডেট: ১৭:২৩, ২৫ আগস্ট ২০২২

Google News
কাতারে বকেয়া বেতনের দাবিতে বিক্ষোভ, বাংলাদেশিসহ অভিবাসী শ্রমিক বহিষ্কার

বকেয়া বেতনের দাবিতে বিক্ষোভ করার কারণে বাংলাদেশিসহ একদল বিদেশি শ্রমিককে বিতাড়িত করেছে কাতার সরকার। ১৪ আগস্ট আল বান্দারি ইন্টারন্যাশনাল গ্রুপের দোহা অফিসের বাইরে অন্তত ৬০ জন অভিবাসী শ্রমিক সমাবেশ করেছিল। এদের অনেকে সাত মাস ধরে বেতন পাচ্ছিলেন না। ওই সময় বেশ কয়েকজন বিক্ষোভকারীকে আটক এবং বহিষ্কার করা হয়। তবে তাদের সংখ্যা কত তা জানা যায়নি। 

যেসব শ্রমিক প্রতিবাদ করেছিলেন তারা বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল, মিসর ও ফিলিপাইনের নাগরিক।

সরকারী সূত্র জানিয়েছে, কাতারের জননিরাপত্তা আইন লঙ্ঘনের দায়ে এসব বিক্ষোভকারীদের দেশ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। যদিও তাদের অনেকের দাবি, সাত মাস ধরে কাউকে বেতন দেয়া হয়নি।

২০১০ সালে কাতার এবছরের বিশ্বকাপ আয়োজনের দায়িত্ব পাওয়ার পর দেশটিতে স্টেডিয়াম এবং অন্যান্য অবকাঠামো নির্মাণের ব্যাপক কর্মযজ্ঞ শুরু হয়। কিন্তু তখন থেকেই এসব নির্মাণের সাথে জড়িত অভিবাসী শ্রমিকদের সঙ্গে কর্তৃপক্ষের আচরণ নিয়ে নানা প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। আল বান্দারি ইন্টারন্যাশনাল গ্রুপ মূলত একটি নির্মাণ এবং প্রকৌশল কোম্পানি। তবে বিক্ষোভরত এসব শ্রমিক বিশ্বকাপের প্রস্তুতিতে জড়িত ছিলেন কিনা তা জানা যায়নি এবং বিশ্বকাপ আয়োজক কমিটিও এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।

বিবিসিকে দেওয়া এক বিবৃতিতে কাতার সরকার নিশ্চিত করেছে দোহায় বিরল বিক্ষোভে অংশ নেওয়া বেশ কয়েকজন কর্মীকে জননিরাপত্তা আইন লঙ্ঘনের জন্য আটক করা হয়েছে।

মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলো জানিয়েছে, এদের মধ্যে কাউকে কাউকে ইতোমধ্যে কাতার থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে।

তবে কাতারি সরকার দাবি করেছে ক্ষতিগ্রস্ত সব শ্রমিকের বকেয়া বেতন ও অন্যান্য পাওনা পরিশোধ করা হবে।

সরকারি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, শ্রমিকদের বেতন-ভাতা না দেয়ার জন্য আল বান্দারি গ্রুপের বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে তদন্ত চলছিল। দেনা-পাওনা নিষ্পত্তি করার সময়সীমা মানতে ব্যর্থ হওয়ার জন্য এই কোম্পানির বিরুদ্ধে আরও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

শ্রমিকদের প্রতি এই আচরণের বিষয়টি তুলে ধরেছে শ্রম অধিকার বিষয়ক মানবাধিকার সংস্থা ইকুইডেম। এর প্রধান মোস্তফা কাদরি প্রশ্ন তুলেছেন, ‘আমরা সবাই কি কাতার এবং ফিফা দ্বারা প্রতারিত হয়েছি?’

তিনি বেশ ক'জন শ্রমিকের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন জানিয়ে বলেন, কিছু পুলিশ কর্মকর্তা বিক্ষোভকারীদের বলেছেন তারা যদি গরমের মধ্যে ধর্মঘট করতে পারে, তাহলে তারা এয়ারকন্ডিশন ছাড়াই ঘুমাতে পারে।

কাদরি বলেন, ‘আপনি কি কল্পনা করতে পারেন যে কতটা মরিয়া হলে এসব শ্রমিক ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে প্রতিবাদ করতে পারেন? তারা রাজনীতি করছেন না, তারা কেবল তাদের শ্রমের ন্যায্য মজুরি চাইছেন।’

রেডিওটুডে নিউজ/আনাম

সর্বশেষ

সর্বাধিক সবার কাছের