মঙ্গলবার,

২৩ এপ্রিল ২০২৪,

১০ বৈশাখ ১৪৩১

মঙ্গলবার,

২৩ এপ্রিল ২০২৪,

১০ বৈশাখ ১৪৩১

Radio Today News

আসামী আজিজুলসহ ৪ জন গ্রেফতার, ১৪৪ ধারায় জবানবন্ধী

মুহিব্বুল্লাহ হত্যায় অংশ নেয় ১৯ জন রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী

সরওয়ার আজম মানিক, কক্সবাজার

প্রকাশিত: ২৩:১৯, ২৩ অক্টোবর ২০২১

আপডেট: ০১:৫১, ২৪ অক্টোবর ২০২১

Google News
মুহিব্বুল্লাহ হত্যায় অংশ নেয় ১৯ জন রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী

ছবি: রেডিও টুডে

কক্সবাজারে রোহিঙ্গাদের শীর্ষ নেতা মুহিবুল্লাহকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় কিলিং মিশনে অংশ নেয়া আজিজুল হককে গ্রেপ্তার করেছে এপিবিএন সদস্যরা। এ সময় আরও ৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের কাছ থেকে আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। সেই সাথে আদালতে ১৪৪ ধারায় জবানবন্ধী দিয়েছে গ্রেফতারকৃত আসামী আজিজুল হক।

শনিবার ভোর ৪টার দিকে উখিয়ার কুতুপালং লাম্বাশিয়া পুলিশ ক্যাম্পের অধীন লোহার ব্রীজ এলাকা তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগে মুহিব্বুল্লাহ হত্যার ঘটনায় ৫ জনকে আটক করা হয়েছিল। এর মধ্যে ইলিয়াস নামে এক রোহিঙ্গা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

এ নিয়ে আজ শনিবার দুপুর দেড়টার দিকে প্রেস ব্রিফিংয়ের আয়োজন করেন ১৪ নং আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন-এপিবিএন'র অধিনায়ক মো. নাইমুল হক। 

এসপি নাঈমুল হক বলেন, মুহিবুল্লার হত্যার দুইদিন আগে মরকজ পাহাড়ে কিলিং মিশনের জন্য বৈঠক করে দুর্বৃত্তরা। সেখান থেকে ৫ জনকে অস্ত্রসহ মোট ১৯ জন কে নির্দেশ দেয়া হয় মিশন শেষ করার জন্য।

তথাকথিত দুর্বৃত্তদের শীর্ষ পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ মহিবুল্লাহকে হত্যার নির্দেশ দিয়েছে মর্মে উক্ত মিটিং এ আলোচনা হয়। কারণ হিসেবে বলা হয় যে, মাস্টার মহিবুল্লাহ রোহিঙ্গাদের বড় নেতা হয়ে উঠেছে। রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে প্রত্যাবাসন সংক্রান্তে বিশেষ ভূমিকা পালন করায় দিনে দিনে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্বে পরিণত হয়ে উঠেছে। তাকে থামাতে হবে। পরবর্তীতে তাঁকে হত্যার পরিকল্পনা করা হয়।

তিনি জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আজিজুল হক জানিয়েছেন মুহিব্বুল্লাহ হত্যাকান্ডে বিভিন্ন পর্যায়ে মোট ১৯ জন রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী অংশ নেয়। 

তিনি আরও জানান, প্রথমে একটি, তার পরের জন দুইটিসহ চারটি গুলি করা হয় মুহিবুল্লাহকে। তারপর মুহিবুল্লার বাড়ির পেছন দিয়ে পালিয়ে যায় স্কোয়াডের ৫ জন। পরে সবাই সতর্ক হয়ে যায়।

বিকালে আজিজুল হককে সিনিয়র জুডিমিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট জেরিন সুলতানার আদালতে হাজির করা হলে সে আদালতে ১৪৪ ধারায় জবানবন্ধী দেয়।

গত ২৯ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ৮টার দিকে উখিয়ার কুতুপালং ক্যাম্প-১ ইস্ট-ওয়েস্ট (ডি ব্লকে) নিজ অফিসে অবস্থান করছিলেন মুহিবুল্লাহ। এ সময় বন্দুকধারীরা গুলি করে হত‌্যা করে তাকে।

এখন পর্যন্ত এ হত্যা মামলায় ৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার মধ্যে মোহাম্মদ ইলিয়াছ নামে একজন ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

রেডিওটুডে নিউজ/ইকে

সর্বশেষ

সর্বাধিক সবার কাছের