ছবি: সংগৃহীত
নোয়াখালীর সেনবাগে স্কুল শিক্ষার্থীকে প্রেমের প্রস্তাব দেওয়াকে কেন্দ্র করে দুই গ্রামবাসীর মধ্যে কয়েক দফা সংঘর্ষে ১০ জন আহত হয়েছেন। শেষমেষ সংঘর্ষ থামাতে ফাঁকা গুলি করতে হয় পুলিশকে। আর ব্যবসায়ে ক্ষতি হওয়ায় ওই কিশোর-কিশোরী সহ প্রায় পাঁচশ জনকে আসামি করে মামলা করেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা।
সোমবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যার দিকে উপজেলার কেশারপাড় ইউনিয়নের কেশারপাড় বাজারের চৌরাস্তা ও কানকির হাট বাজারে বীরকোট গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
ওই ঘটনায় আজ মঙ্গলবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সেনবাগ থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। কানকির হাট বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মীর হোসেন দুই কিশোর-কিশোরীর নাম উল্লেখ করে এই মামলা করেন। মামলায় আরও আসামি করা হয়েছে ৫০০ অজ্ঞাত ব্যক্তিকে।
সেনবাগ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ইমদাদুল হক জানান, পুলিশ ১১ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুঁড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে ওই এলাকার পরিস্থিতি থমথমে।
স্থানীয় সূত্র জানা গেছে, সেনবাগ উপজেলার কানকির হাট কলেজের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী একই ইউনিয়নের বীরকোট গ্রামের কানকির হাট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীকে প্রেমের প্রস্তাব দেয়। এই নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে বিরোধ দেখা দেয়। কিশোরীর পরিবার ছেলেটিকে থাপ্পড় দেয়। পরবর্তীতে ওই কিশোরের পরিবারের লোকজন মেয়েটির ভাইকে মারধর করে। এই নিয়ে দুই গ্রামের মধ্যে বিরোধ তৈরি হয়। ওই বিরোধকে কেন্দ্র করে সিলাদি ও বীরকোট গ্রামবাসী সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে দেশিয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে কানকির হাট বাজারে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এসময় দুই গ্রামবাসী বাজারে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়ে ১০-১৫টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাঙচুর করে। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। এসময় পুলিশ ৬ জনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
এদিকে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাঙচুরের প্রতিবাদে কানকির হাট বাজার ব্যবসায়ী সমিতি আজ সকালে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখে সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত সেনবাগ-সোনাইমুড়ী সড়ক অবরোধ করে রাখে।
রেডিওটুডে নিউজ/ইকে