সংগৃহীত ছবি
আলোচিত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির দুটি লকার ভেঙে একটিতে পাওয়া গেলো মাত্র আড়াই হাজার টাকা। অন্যটিতে বিভিন্ন ব্যাংকের শতাধিক ব্ল্যাংক চেক এবং কিছু অপ্রয়োজনীয় কাগজ পত্র ছাড়া আর কিছুই মিলেনি। লকারগুলোর পাসওয়ার্ড না থাকায় ঢাকা জেলা বিভাগের মনোনীত ম্যাজিস্ট্রেট, ধানমন্ডি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার উপস্থিতিতে সেগুলো ভাঙা হয়েছে।
সোমবার (৩১ জানুয়ারি) বেলা তিনটার দিকে ধানমন্ডিতে ইভ্যালির প্রধান কার্যালয়ের তৃতীয় তলায় বিদ্যুৎচালিত কাটারের সাহায্যে লকারগুলো ভাঙা হয়। প্রায় পৌনে একঘন্টার প্রচেষ্টায় লকারগুলো ভাঙতে সক্ষম হন তারা।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, পরিচালনা পর্ষদ কমিটির চেয়ারম্যান আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, ঢাকা জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আসফিয়া সিরাত ও পুলিশের ধানমন্ডি থানার একটি দল।
গত বছরের ১৫ সেপ্টেম্বর প্রতারণাসহ নানা অভিযোগে গ্রেপ্তার হন ইভ্যালির প্রতিষ্ঠাতা মোহাম্মদ রাসেল ও তার স্ত্রী কোম্পানির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন। তারা দুজন এখনও কারাগারে রয়েছেন।
তথ্য অনুযায়ী, ইভ্যালি থেকে প্রায় দুই লাখের বেশি গ্রাহক পণ্য সংগ্রহের জন্য আবেদন করে টাকা জমা দিয়েছিলো। প্রতিষ্ঠানটি প্রথম দিকে সময় অনুযায়ী কিছু গ্রাহকের পণ্য পৌঁছে দিয়েছিলো। এরই মাঝে বিভিন্ন কোম্পানির পাওনা টাকা পরিষোধ না করতে পারায় বিপত্তি বাধে ইভ্যালির। ওদিকে টাকা পরিশোধ করে প্রতারিত হওয়া বেশিরভাগ গ্রাহক তাদের ওর্ডার করা পণ্য ফেরতের দাবিতে দেশের বিভিন্ন জেলায় আন্দোলন করতে শুরু করে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও ডিজিটাল ই-কমার্স পরিচালন সংক্রান্ত জাতীয় কমিটির তথ্য অনুযায়ী, গ্রাহক, মার্চেন্ট ও অন্যান্য সংস্থার কাছে ইভ্যালির দেনা ৫৪৩ কোট টাকা। তবে প্রতিষ্ঠানটির নীতিনির্ধারকরা দাবি করে আসছিলো তাদের হাতে রয়েছে প্রায় একশো কোটি টাকারও কম সম্পদ।
রেডিওটুডে নিউজ/ইকে