পহেলা আগস্ট থেকে গার্মেন্টস ও কলকারখানা খুলে দেয়ার ঘোষণায় শনিবার সকাল থেকে বেশ ভিড় ছিল শিমুলিয়া-বাংলাবাজার ফেরি রুটে। বহরের আঠারোটি ফেরির মধ্যে দশটি ফেরিতে করে পারাপার চলছে।
দীর্ঘ ভিড়ের মধ্যেই পদ্মা পাড়ি দিচ্ছেন বেপরোয়া মানুষ। পদ্মার স্রোতের সাথে পাল্লা দিতে না পারায় উপচে পড়া ভিড়েও ৭টি ফেরি বন্ধ রাখা হয়েছে। ফেরি ঘাটে ভিড়তেই শুরু হয় হুড়োহুড়ি। কে কার আগে নামবে সেই প্রতিযোগিতা। কোথাও নেই স্বাস্থ্যবিধির বালাই। অনেকে মাস্ক পর্যন্ত পড়ছেন না। ঘাটে আসার পর কাভার্ড ভ্যান ও নসিমনে পণ্যের মত গন্তব্যে যাওয়ার চেষ্টা। নানা রকম যানে অতিরিক্ত ভাড়ায় পরিবার-পরিজন নিয়ে রাজধানী ফিরছেন মানুষ।
বিআইডব্লিটিসির সহ-মহাব্যবস্থাপক মো.শফিকুল ইসলাম বলেন লঞ্চ-স্পীডবোট সহ এই রুটের সব নৌযান বন্ধ। পদ্মাপারে একমাত্র বাহন এখন ফেরি। তাই যাত্রীরা এখন ফেরিতেই সবাই পার হচ্ছেন।
আগামীকাল থেকে শিল্প কলকারখানা উৎপাদনমুখী প্রতিষ্ঠান খুলছে এই খবরে হিমশিম খাচ্ছে ঘাট কর্তৃপক্ষ। তিনি বলেন, পদ্মায় প্রচণ্ড স্রোতের বহরের ১৮ ফেরির মধ্যে ১০টি ফেরি চলছে। শুধু জরুরি পরিষেবার গাড়ি পারাপারের জন্য ফেরি চালু থাকলেও যাত্রীরা ফেরিতে উঠে পড়ছে।
লকডাউন বাস্তবায়নে পুলিশ, প্রশাসন, সেনাবাহিনী ও বিজিবি ঘাট এলাকায় কাজ করছে। নিয়মিত ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হচ্ছে। গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে পুলিশ চেকপোস্ট বসিয়ে যানবাহন এবং যাত্রীদের নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করছে। তারা বলছে- ঢাকা থেকে দক্ষিণবঙ্গগামী যাত্রী এবং যানবাহনের সংখ্যা কম। তারপরও যারা এই পথে যাচ্ছে তাদের জবাবদিহি করা হচ্ছে। তবে দক্ষিণবঙ্গ থেকে ঢাকার দিকে মানুষ বেশি আসছে।
এদিকে মুন্সীগঞ্জে করোনা শনাক্তের হার বেড়ে চলেছে। গেল ২৪ ঘন্টায় জেলায় ২৬৭ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে এবং একজন মারা গেছেন। তারপরও মানুষ সর্তক হচ্ছে না। নানা অজুহাতে তারা বাইরে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করছে। কেউ বলছে অসুস্থ, কেউ বলছে বিদেশ যাবে, কেউ টিকা নেবে, কারো পরিবারের সদস্যের মৃত্যু হয়েছে হাজারো অজুহাত তাদের।
রেডিওটুডে নিউজ/ইকে/এসআই