শনিবার,

২০ এপ্রিল ২০২৪,

৭ বৈশাখ ১৪৩১

শনিবার,

২০ এপ্রিল ২০২৪,

৭ বৈশাখ ১৪৩১

Radio Today News

গাইবান্ধার সাড়ে ছয়শ’ পুজা মন্ডপে অনুষ্ঠিত হচ্ছে শারদীয় দুর্গোৎসব

গাইবান্ধা প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২২:৩৫, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২১

আপডেট: ২২:৪৭, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২১

Google News
গাইবান্ধার সাড়ে ছয়শ’ পুজা মন্ডপে অনুষ্ঠিত হচ্ছে শারদীয় দুর্গোৎসব

ছবি: রেডিও টুডে

করোনাকালীন স্বাস্থ্য বিধি মেনে গাইবান্ধার সাত উপজেলায় সনাতন ধর্মালম্বীদের এবার সাড়ে ছয়শ’ পুজা মন্ডপে শারদীয়া দুর্গোউৎসব শুরু হচ্ছে।

৫ অক্টোবর মহালয়ার মধ্যদিয়ে আগামী ১১ অক্টোবর ষষ্টি পুজা শুরু হবে। দেবী এবার আসবেন ঘটকে আর দোলায় গমন করবেন। এবছর গাইবান্ধা সদর উপজেলায় ১০৩টি, সাদুল্যাপুরে ১১৭টি, ফুলছড়িতে ১৯টি, সাঘাটায় ৬১টি, পলাশবাড়িতে ৬৪ টি, সুন্দরগঞ্জে ১৪৫টি ও গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় ১২৯টি মন্দির ও মন্ডপে দুর্গা পূজা অনুষ্ঠিত হবে। স্বাস্থ্য বিধি মেনে শারদীয়া দুর্গোৎসবের আয়োজন চলছে মন্ডপ গুলোতে।

এদিকে সাঘাটা, ফুলছড়ি, গোবিন্দগঞ্জ, সাদুল্লাপুর, সুন্দরগঞ্জ, পলাশবাড়ি ও গাইবান্ধা সদরসহ সাত উপজেলার বিভিন্ন স্থানে চলছে মূর্তি তৈরীর কাজ। কারিগরদের পোষায় না তবু বাপ দাদার পেশাকে ধরে রাখতে কাজ করছেন তারা। জেলার বাইরে থেকে এসেছেন মূর্তি তৈরীর কাজ করতে। অনেকটা টাকা পয়সার উপর নির্ভর করে তারা কোথায় কোন মন্ডপে যাবেন ।

মূর্তি তৈরীর কয়েকটি টীম কাজ করছে গাইবান্ধা জেলার সর্বত্র। রাতদিন চলছে মাটি ,খড় ,বাঁশ সহ নানা সামগ্রী দিয়ে মূর্তি তৈরীর কাজ। কেউ তৈরী করছেন কাঁদা, কেউ কাটছেন বাঁশ, কেউ আবার মাটি দিয়ে প্রলেপ দিচ্ছেন মূর্তির গায়ে।

তবে পুজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি রনজিৎ বকসী সুর্য্য বলেন, মন্ডপে মন্ডপে আলোক সজ্জা থাকলেও ঢাক বাজবেনা এই মহামারী দুর্দিনে। পুজার আয়োজন থাকলেও মহামারী করোনাকালীন মানুষের মঙ্গল কামনায় এই পুজা অনুষ্ঠিত হবে শুধু মন্ডপে মন্ডপে।

মূর্তির কারিগর যোতিন দেওয়ান বলেন, মূর্তি তৈরী আমাদের পৈত্রিক পেশা। সারা দেশের যেখান থেকেই আমাদের ডাক পড়ুক, আমরা আমাদের চাহিদা অনুযারী সেখানে যাই এবং একটি টীম রাত দিন কাজ করে।

কালীবাড়ি মন্দিরের পুজারী শ্রী মধুসুদন চক্রবতী জানান, মহামারী করোনায় সারা বিশ্বের মানুষের মনে কোন আনন্দ নেই। মানুষ যাতে ভালো ভাবে শান্তিতে দিন কাটাতে পারে সেজন্য মন্দিরের বাইরে এবারও আমরা কোন আলোক সজ্জা করবো না। তবে দেবতার পুজা হবে সবার মঙ্গলের জন্য।

গাইবান্ধার জেলা প্রশাসক আব্দুল মতিন জানান, গাইবান্ধার মানুষ শান্তিপ্রিয়। সনাতন ধর্মালম্বীদের পুজা অনুষ্ঠানের জন্য মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষও এই আনন্দ থেকে বাদ যায়না। সকল জাত মিলে আনন্দ উৎসবের মধ্য দিয়ে দুগোৎসব পালনের জন্য প্রশাসনের পক্ষে থেকে সকল প্রকার ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে।

রেডিওটুডে নিউজ/জেএফ

সর্বশেষ

সর্বাধিক সবার কাছের