মুন্সীগঞ্জে ফাঁকা লঞ্চঘাট (ছবি: রেডিও টুডে)
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে সরকার ঘোষিত কঠোর লকডাউনের অংশ হিসেবে দ্বিতীয় দিনের মত বুধবার মুন্সীগঞ্জে লকডাউন বাস্তবয়ন কর্মসূচি ছিল চোখে পরার মতো। দূরপাল্লার যান ও লঞ্চসহ সকল গণপরিবহন একবারেই বন্ধ রয়েছে। ছোট যানও বন্ধ রয়েছে। অতি প্রয়োজন ছাড়া কোন যানকেই চলতে দেয়া হচ্ছে না। মোড়ে মোড়ে পুলিশ পাহাড়ায় বের হওয়া লোকজন এবং যানবাহনকে জবাবদিহিতা করতে হচ্ছে। লকডাউন পালনে জেলা প্রশাসনের একাধিক টিম ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করছে। জেলায় ঢোকার মুখে শক্তিশালী চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। মাঠে ম্যাজিস্ট্রেটসহ পুলিশ লকডাউন বাস্তবায়নে কাজ করছে।
দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ শিমুলিয়া-বাংলাবাজার ফেরি সচল থাকলেও শুধুমাত্র জরুরি পণ্যবাহী এবং পরিসেবার যান পারাপার করা হচ্ছে। লঞ্চ চলাচল বন্ধ থাকায় যাত্রীরা ফেরিতে করেই পারাপার হচ্ছে। তবে পথে পথে ব্যারিকেট থাকায় চাপ অপেক্ষাকৃত কম।
যাত্রীরা শিমুলিয়া ঘাটে এসে পড়েছে বিপাকে। রাজধানীতে যাওয়ার পর্যাপ্ত যান থাকায় বেশী খরচের পাশাপাশি দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। বিআইডব্লিওটিসি জানিয়েছে, বহরের ১৬ ফেরির মধ্যে ১৪টি চলাচল করছে। জরুরি পরিসেবায় নিয়োজিত যান, পণ্যবাহী ট্রাক ও অ্যাম্বুলেন্সসহ ছোট যান পারাপার করা হচ্ছে।
ঘাটে যান বাহনের চাপ ঠেকাতে সিরাজদিখান, শ্রীনগর ও শিমুলিয়ার হিলশা মোড়ে পুলিশের চেক পোস্ট বসানো হয়েছে।
করোনা সংক্রমণ ঝুঁকি মোকাবিলায় মুন্সীগঞ্জ ও মাদারীপুরসহ ঢাকা বিভাগের ৭ জেলায় সোমবার ভোর ৬ টা থেকে লকডাউন চলছে। ৩০ জুন মধ্য রাত পর্যন্ত এই লকডাউন ঘোষণা দিয়ে প্রশাসন গণবিজ্ঞপ্তি জারি করেছে।
মুন্সীগঞ্জে গেল এক মাসে ১৬৩ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। অন্যদিকে এ পর্যন্ত জেলায় পাঁচ হাজার ৮৮৬ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে, যার মধ্যে মারা গেছেন ৭১ জন।