প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের পর ১৯৯৬ সাল অবধি যারা ক্ষমতায় ছিলেন তারা শুধু লুটপাটের রাজনীতি করে গেছেন। রোববার (২০ জুন) গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে ঘর ‘উপহার’ দেয়ার অনুষ্ঠানে তিনি এই মন্তব্য করেন।
প্রধানমন্ত্রীর তত্ত্বাবধানে পরিচালিত ‘আশ্রয়ন প্রকল্পের’ আওতায় দ্বিতীয় ধাপে সাড়ে ৫৩ হাজার পরিবারকে বিনামূল্যে দুই শতক জমি সহ সেমিপাকা ঘর উপহার দেয়া হচ্ছে।
শেখ হাসিনা বলেন, ক্ষমতায় বসে শুধু নিজে খাবো, নিজে ভালো থাকবো সেটা তো না। ক্ষমায় থাকা মানে হচ্ছে মানুষের সেবা করার একটা সুযোগ। মানুষের জন্য কিছু করার সুযোগ।
তিনি বলেন, মানুষের সেবক হিসেবে যখনই প্রথম সরকার গঠন করি, আমি ঘোষণা দিয়েছিলাম যে সেবক হিসেবেই নিজেকে আমরা তৈরি করেছি। এবং সেভাবে সাহায্য করে যাচ্ছি কাজ করে যাচ্ছি।
আওয়ামী লীগ সভানেত্রী বলেন, ১৯৭৫ থেকে ১৯৯৬ সাল অবধি যারা ক্ষমতায় ছিল তারা তো লুটপাটের রাজনীতি করে গেছে। দেশের উন্নয়নের জন্য তাদের কোনো চিন্তাই ছিলোনা। এই সীমিত আর্থিক সম্পদ নিয়েই আমরা কিন্তু ছিন্নমূল মানুষ, গৃহহারা ও ভূমিহীন মানুষদের পুনর্বাসনের কাজ শুরু করি।
তিনি বলেন, স্বাধীনতার পর জাতির পিতা গুচ্ছগ্রাম নির্মাণের মাধ্যমে ভূমিহীনদের খাস জমি দেয়া এবং তাদের জন্য গৃহ নির্মাণের কাজ শুরু করেছিলেন। সেই থেকেই যাত্রা শুরু। ভূমিহীন-গৃহহীন মানুষকে স্থায়ী ঠিকানা করে দিতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেমোরিয়াল ট্রাস্ট থেকে ৫ কোটি টাকা অনুদান দিয়ে তহবিল চালু করা হয়। পরে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ এগিয়ে আসেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এখন পর্যন্ত আমরা সরকারের প্রথম ৫ বছর, আর তারপর দ্বিতীয়বার এবং আজকে আমরা সরকারে আছি একটানা তৃতীয়বার। এরমধ্যে আমরা প্রায় ১০ লাখের উপর মানুষকে গৃহ নির্মাণ করে দিতে সক্ষম হয়েছি।
শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা এই দেশ স্বাধীন করে দিয়ে গেছেন। আমাদের লক্ষ্য তার সৃষ্ট এই বাংলাদেশে একটি মানুষও গৃহহীন থাকবে না। ভূমিহীন থাকবে না।
উল্লেখ্য যে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার হিসেবে ‘আশ্রয়ন-২’ প্রকল্পের আওতায় প্রথম পর্যায়ে এর আগে দুই শতাংশ জমির সঙ্গে ঘর পেয়েছে ভূমি ও গৃহহীন প্রায় ৭০ হাজার পরিবার। ডিসেম্বরের মধ্যে আরো ১ লাখ পরিবারকে জমি সহ ঘর দেয়ার পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে।
