শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্রায় ৯ হাজার পিস ইয়াবাসহ সাদ্দাম নামে সৌদিগামী এক যাত্রীকে আটক করেছে বিমানবন্দর আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন)।
আজ বুধবার সকাল ছয়টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাকে আটক করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, সৌদিতে পাচারের উদ্দেশে সে এসব ইয়াবা সঙ্গে করে নিয়ে যাচ্ছিলেন। প্রতি পিস ২০০ থেকে ৩০০ টাকা দরে কিনে এসব ইয়াবা কোনোভাবে সৌদিআরবে নিতে পারলে সেখানে বিক্রি করা হতো এক থেকে দেড় হাজার টাকায়।
শাহজালাল বিমানবন্দরে এক সংবাদ সম্মেলনে এপিবিএনের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) জিয়াউল হক জানান, সালাম এয়ারের ফ্লাইটে সৌদি আরবের দাম্মামের উদ্দেশ্যে যেতে সাদ্দাম ভোর ৬টার দিকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আসেন। প্রথমে ঢাকা থেকে ওমানের মাসকাট এবং কানেন্টিং ফ্লাইটে সৌদি আরবের দাম্মাম যাওয়ার কথা ছিল তার। কিন্তু স্ক্যানিংয়ের আগেই সেগুলো ধরা পড়ে। ল্যাগেজের ভেতরে বিশেষ কৌশলে লুকানো ছিল ইয়াবাগুলো।
জিয়াউল হক বলেন, আটক সাদ্দামের বাড়ি কুমিল্লার কোটবাড়ি এলাকায়। এসব ইয়াবা তিনি কুমিল্লার এক ব্যক্তির কাছ থেকে নিয়েছেন। ওই ব্যক্তিদের একটি চক্র সাদ্দামকে সৌদি আরবে যাওয়ার টিকিট ও ভিসা করে দিয়েছে। জিয়াউল হক আরো বলেন, আটকৃতকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আমরা জানতে পারি, এই ইয়াবাগুলো ২০০ থেকে ৩০০ টাকা করে বিভিন্ন জনের কাছ থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। এগুলো সৌদিআরবে নিতে পারলে সেখানে প্রতি পিস এক থেকে দেড় হাজার টাকায় বিক্রি করতেন। সেখানে প্রতি পিস ইয়াবাতে তার ৮শ থেকে ১৩শ টাকা করে লাভ থাকতো। যার একটি অংশ সাদ্দামও পেতো। ইয়াবাগুলো নিয়ে সৌদিআরবের দাম্মামের এক প্রবাসীর কাছে হস্তান্তর করার কথা ছিল তার।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেন, আসামি সাদ্দামকে জিজ্ঞাসাবাদে আমরা ইয়াবা পাচার চক্রের সদস্যদের বেশকিছু নাম পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে এই চক্রের বাকি আসামিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। ইয়াবা পাচার সাদ্দামের এটাই প্রথম নয় উল্লেখ করে পুলিশের এ কর্মকর্তা বলেন, গত বছর সাদ্দাম ইয়াবা পাচারের সময় পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছিল। সেই মামলায় সে বর্তমানে জামিনে রয়েছেন। এরই মধ্যে ইয়াবার বড় এই চালান সে সৌদি আরবে পাচার করতে যাচ্ছিলো।
রেডিওটুডে নিউজ/ইকে