বৃহস্পতিবার,

২৫ এপ্রিল ২০২৪,

১২ বৈশাখ ১৪৩১

বৃহস্পতিবার,

২৫ এপ্রিল ২০২৪,

১২ বৈশাখ ১৪৩১

Radio Today News

হুমকির মুখে ১৩৭ প্রজাতি

চট্টগ্রাম নগরীর পাহাড়ে ৪৯৫ প্রজাতির উদ্ভিদের সন্ধান

চট্টগ্রাম প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ০১:৩৫, ২৫ আগস্ট ২০২১

আপডেট: ০৮:৪৩, ২৫ আগস্ট ২০২১

Google News
চট্টগ্রাম নগরীর পাহাড়ে ৪৯৫ প্রজাতির উদ্ভিদের সন্ধান

চট্টগ্রাম শহরে ২০টি এলাকায় মোট ৪৯৫  প্রজাতির উদ্ভিদ রয়েছে। এর মধ্যে ১৭৭ প্রজাতির বড় বৃক্ষ, ৮৬ প্রজাতির গুল্ম জাতীয়, ১৭৯ প্রজাতির বীরুৎ জাতীয়, ৫৩ প্রজাতির লতা জাতীয় উদ্ভিদ পাওয়া গেছে। এদের মধ্যে ১৪১ প্রজাতির বিদেশী এবং ৩৫৪ প্রজাতির দেশীয় উদ্ভিদ রয়েছে, যার মধ্যে এখন বিলুপ্তির হুমকিতে আছে ১৩৭ প্রজাতি।

চট্টগ্রামে রেলওয়ের মালিকানাধীন সিআরবি পাহাড়ে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের আন্তরর্জাতিক মানের হাসপাতাল নির্মাণের প্রতিবাদে চলমান  প্রাকৃতিক পরিবেশ রক্ষায় সাম্প্রতিক আন্দোলনের মধ্যে মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলন করে এই তথ্য প্রকাশ করেছে  ইফেক্টিভ ক্রিয়েশন অন হিউম্যান ওপেইনিয়ন (ইকো) নামের একটি সংগঠন।

চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়  দুর্লভ অশোক, শিমুল, উলটকম্বল, শ্বেত কাঞ্চন, কুর্চি, আমলকি ও স্বর্পগন্ধার পাশাপাশি তেলিয়া গর্জন, লাম্বু আর বকুলও রয়েছে এই উদ্ভিদরাজির মধ্যে।

সংবাদ সম্মেলনে গবেষক দলের প্রধান চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. ওমর ফারুক রাসেল বলেন,  গবেষণায় শনাক্তকৃত ৩৬৬ প্রজাতির ওষধি উদ্ভিদসহ ৪৯৫ প্রজাতির উদ্ভিদের অনেকগুলোই হারিয়ে যাবে,  যা চট্টগ্রাম শহরের পরিবেশকে মারাত্মকভাবে বিনষ্ট করবে।  

সড়ক-মহাসড়কের বিভাজকে তিনস্তরে ঔষধি, দেশীয়, ফলজ গাছ রোপনের প্রতি গুরুত্ব দেওয়ার অনুরোধ জানান তিনি।

বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা-ইফেক্টিভ ক্রিয়েশন অন হিউম্যান ওপেইনিয়ন (ইকো) অর্থায়নে চট্টগ্রাম শহরে কতগুলো উদ্ভিদ রয়েছে, এদের মধ্যে কতগুলো ঔষধি উদ্ভিদ এবং কতগুলো বিপন্ন প্রজাতি বিলুপ্ত প্রায় তা নির্ণয়ে গবেষণাটি পরিচালিত হয়।

চট্টগ্রামে আলোচিত সিআরবি এলাকায় যেখানে হাসপাতাল নির্মাণের প্রতিবাদে বর্তমানে আন্দোলন চলছে সেখানে ২২৩ প্র্র্র্রজাতির উদ্ভিদ রয়েছে। যেখানে ৮৮ প্রজাতি বড় বৃক্ষ, ৪১ প্রজাতি গুল্ম জাতীয়, ১৮৩ প্রজাতি ঔষধি উদ্ভিদ এবং ভবিষ্যতে বিলুপ্ত হতে পারে এমন ৬৬ উদ্ভিদ এলাকায় রয়েছে। এছাড়া আরও অন্যান্য ১০৫ প্রজাতির উদ্ভিদ সিআরবি এলাকায় রয়েছে বলে গবেষকরা জানান।  

ইকো’র সভাপতি মো. সরওয়ার আলম চৌধুরি মনি, সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য শাহেদ মুরাদ সাকু ও এস এম আবু ইউসুফ সোহেলের সহযোগিতায় এই বছরের মার্চে শুরু হওয়া গবেষণাকর্মটির নেতৃত্ব দেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ওমর ফারুক রাসেল।

সহযোগী হিসেবে ছিলেন, চবি উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র মো. খন্দকার রাজিউর রহমান, ইমাম হোসেন, সজীব রুদ্র, মো. আরিফ হোসাইন, সনাতন চন্দ্র বর্মন, মো. মোস্তাকিম, মো. ইকরামুল হাসান।
 

রেডিওটুডে নিউজ/এসএন/ইকে

সর্বশেষ

সর্বাধিক সবার কাছের