লকডাউনে বন্ধ থাকছে ব্যাংকের লেনদেন
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ও মৃত্যু হার ঠেকাতে গত বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) থেকে সারা দেশে সপ্তাহব্যাপী কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে সরকার। আজ রোববার চলছে তার চতুর্থ দিন। লকডাউনে এবার সরকাররি-আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত সব অফিস ৭ দিনের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
এদিকে চলমান লকডাউনে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী লকডাউনের মধ্যে আজ রোববার ব্যাংক বন্ধ থাকবে। নতুন নির্দেশনা মোতাবেক কঠোর লকডাউন চলাকালে ব্যাংক সপ্তাহে চার দিন, প্রতিদিন সাড়ে ৩ ঘন্টা করে চলছে লেনদেন। এই সময়ে শুক্রবার ও শনিবারের সাপ্তাহিক ছুটির পাশপাশি রোববারও ব্যাংক বন্ধ থাকবে।
কঠোর বিধিনিষেধ প্রতিপালনে গত তিন দিনের ন্যায় আজ চতুর্থ দিনেও মাঠে রয়েছে পুলিশ, বিজিবি, র্যাব, আর্মি ও আনসার বাহিনীর সদস্যরা। সকাল থেকেই দেশের বিভিন্ন স্থানে তাদের টহল চোখে পড়েছে। তবে রাস্তাঘাটে রিক্সা ও মানুষের চলাচলা কিছুটা বেড়েছে। অবশ্য প্রধান প্রধান রাস্তার তুলনায় অলিগলিতে মানুষের উপস্থিতি বেশি।
রাজধানীর কাওরান বাজার, হাতিরপুল, নিউমার্কেট, পুরানা পল্টন, মতিঝিলি, কাকরাইল, বাংলামোটর, আজিমপুর, খিলগাঁও, মগবাজার, মহাখালী ও ফার্মগেটে মানুষের উপস্থিতি চোখে পড়ে। অবশ্য নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস কেনার অজুহাতে এসব লোক বেরিয়েছেন বলে অনেকেই জানান।
এদিকে লকডাউনে জরুরি কারণ ছাড়া অযৌক্তিভাবে কেউ বাড়ির বাইরে বের হলেই তাকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর জেরার মুখে পড়তে হয়েছে। যারা বিনা কারণে ঘর থেকে বেরিয়েছিলেন এমন ব্যক্তিদের মধ্যে প্রথমদিনই ৫৫০ জন, দ্বিতীয় দিন ৩২০ জনকে আটক করে পুলিশ। র্যাবের ভ্রাম্যমান আদালত ও অভিযানে দেশব্যাপী বৃহস্পতিবার ১৮২ জনকে জরিমানায় এক লাখ ৩২ হাজার ৩৯৫ টাকা এবং শুক্রবারের অভিযানে মোট ২১৩ জনকে জরিমানা করা হয়। তাদের কাছ থেকে ২ লাখ ১৫ হাজার ৫৪০ টাকা আদায় করা হয়ছে।
এবারের লকডাউনের তৃতীয় দিনে শনিবার সারা দেশে ২৭৭ জন ব্যক্তির কাছ থেকে প্রায় ২ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করেছে র্যাব। সারাদেশে সর্বমোট ৩১ টি ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা এই অর্থদণ্ড প্রদান করেন।