রাজাধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বাংলাদেশ যুবলীগ আয়োজিত যুব মহাসমাবেশে যোগ দিতে দেশের বিভিন্ন জেলা বিভাগীয় শহর থেকে সংগঠনের হাজারো নেতাকর্মী গত কয়েকদিন ধরে রাজধানীতে জড়ো হয়েছেন। আগত এসব নেতাকর্মীরা সমাবেশস্থলের আশেপাশে অবস্থান নিয়েছিলেন।
আজ দুপুরে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও খুব সকাল থেকেই নেতা কর্মীরা সমাবেশ স্থলের দিকে আসতে থাকেন।এতে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা।সমাবেশস্থলের পাশেই অবস্থিত স্বনামধন্য এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ক্যাম্পাস সকাল থেকে ছিল যুবলীগ নেতাকর্মীদের দখলে।ঢাবির প্রতিটি মোড়ে মোড়ে যুবলীগ নেতাকর্মীদের অবস্থানের কারণে সাধারণ মানুষের যাতায়ত ও যান চলাচল ব্যাহত হচ্ছিল।
তবে সমাবেশের কারণে সব থেকে বেশি বিপাকে পড়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছেলেদের হলগুলোতে অবস্থান করা শিক্ষার্থীরা। সমাবেশে যোগ দিতে সকাল থেকেই দূর দুরান্ত থেকে আগত নেতাকর্মীরা বিশ্রাম,শৌচাগার,গোসল ও খাওয়া দাওয়া সারতে দাবির হল গুলোতে আসতে থাকে।এতে ওয়াশরুমগুলোতে পড়ে যায় দীর্ঘ লাইন।নেতাকর্মীদের ভিড়ে সেখানে সুযোগ পাচ্ছিলেন না সাধারণ শিক্ষার্থীরা।পবিত্র জুমাবার হওয়ায় ভোগান্তি বাড়ে বহুগুণ।এরপর বেলা বাড়ার সঙ্গে হলগুলোর ক্যান্টিন ও খাবারের দোকানও চলে যায় সমাবেশ আগত নেতাকর্মীদের দখলে।সেখানে রংবেরঙের টি শার্ট পরিহিত যুবলীগ কর্মীদের বাইরে সুবিধা করতে পারছিলেন না সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
কয়েকটি ক্যান্টিনে আবার সংগঠনটির নেতাকর্মীরা আগেই খাবারের বুকিং দিয়ে রেখেছিল। ক্যান্টিন সংশ্লিষ্টদের শিক্ষার্থীদের খাবার না দিয়ে সেগুলো প্রস্তুতে ব্যস্ত থাকে দেখা যায় বেশি। কয়েকটি হলে দীর্ঘক্ষণ চেষ্টা করেও খাবার না পেয়ে ফিরে আসতে হয় অনেক শিক্ষার্থীকে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ঢাবির এক আবাসিক শিক্ষার্থী জানান,ওয়াশরুমে ভোর থেকে এত বেশি ভিড় ছিল যে ঘুম থেকে উঠে সেখানে গিয়ে ফ্রেশ হতেই আধ ঘন্টা চলে যায়।আর জুমার নামাজের পর খাবারের দোকানে গিয়ে দেখি খাবার শেষ,ক্যান্টিন,দোকান কোথাও খাবার নেই।এ ধরনের বাজে অভিজ্ঞতা হল জীবনে এই প্রথম।একাধিক হল প্রভোস্টের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা এ বিষয়ে কিছু তাদের কিছু করার নেই বলে জানান।
বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা যায়,যুবলীগ নেতারা সমাবেশ আগত কর্মীদের আগে থেকেই বিশ্রাম খাবার ও যাবতীয় কাজে ঢাবির হলগুলোতে যাওয়ার নির্দেশনা দিয়েছিলেন। তাদের যাতে কোনরকম অসুবিধা না হয় দেখভালে দায়িত্ব ছিল হল ছাত্রলীগ নেতাদের।ফলে আগত নেতাকর্মীরা পুরো দিন নির্বিঘ্নে ঢাবির হলগুলো ব্যবহার করতে পেরেছে।
উল্লেখ্য, যুবলীগের ৫০ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজিত এ যুব মহাসমাবেশে উপস্থিত থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সমসাময়িক রাজনৈতিক ও বিভিন্ন ইস্যুতে বক্তব্য প্রদান করেন।
রেডিওটুডে নিউজ/ইআ
