বৃহস্পতিবার,

২৫ এপ্রিল ২০২৪,

১২ বৈশাখ ১৪৩১

বৃহস্পতিবার,

২৫ এপ্রিল ২০২৪,

১২ বৈশাখ ১৪৩১

Radio Today News

আমেরিকায় বাংলা সিনে আ্যাওয়ার্ডের আয়োজক বাবু`র গল্প 

বিনোদন ডেস্ক

প্রকাশিত: ০২:১০, ২০ মার্চ ২০২২

আপডেট: ০২:১৩, ২০ মার্চ ২০২২

Google News
আমেরিকায় বাংলা সিনে আ্যাওয়ার্ডের আয়োজক বাবু`র গল্প 

আমেরিকা প্রবাসী সফল উদ্যোক্তা, বিএনএস লজিস্টিক এর চেয়ারম্যান ও আমেরিকায় বাংলা সিনে আ্যাওয়ার্ড এর অন্যতম আয়োজক আজগর হোসাইন খান বাবু। আমেরিকায় বিভিন্ন উপলক্ষে মেগা ইভেন্ট আয়োজনের জন্য প্রবাসী বাঙালি কমিউনিটির প্রিয় মুখ তিনি। বাংলা সিনেমা, সিনেমার নির্মাতা ও কলাকুশলীদের পুরস্কার প্রদানের মাধ্যমে আমেরিকায় বাংলা সিনেমার প্রচার-প্রসারে কাজ করছেন। এই আয়োজন সফলভাবে সমাপ্ত করার জন্য ইতোমধ্যে পেয়েছে গ্রহণযোগ্যতা ও ব্যাপক পরিচিতি।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৯৮ সালে রাষ্ট্র বিজ্ঞানে মাস্টার্স সমাপ্ত করেন বাবু। শিক্ষা জীবন শেষে প্রথমে যুক্ত হয়েছিলেন একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে। এরপর প্রতিষ্ঠা করেন বিএনএস লজিস্টিক নামে একটি প্রতিষ্ঠান। যে প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে বিভিন্ন অনুষ্ঠান আয়োজন করতেন। ২০১৫ সালে আমেরিকার একটি প্রতিষ্ঠানের সাথে যুক্ত হয়ে শুরু করেন বাংলা সিনে অ্যাওয়ার্ড। প্রতিটি আয়োজনে বাংলাদেশের প্রায় অর্ধ শতাধিক সুপার
স্টার এর মহামিলন ঘটান তিনি আমেরিকায়।

বহু জাতি, বর্ণ ও সংস্কৃতির মানুষের বসবাস আমেরিকায়। যেখানে সব দেশের মানুষ তার নিজের দেশের ভাষা ও সংস্কৃতি চর্চা ও বিকাশের জন্য অসম প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়। সেখানে বাংলা চলচ্চিত্রের উপর এতা বড় একটি আয়োজন সফলতার সঙ্গে তিনি করছেন। আমেরিকায় ‘বাংলা সিনে অ্যাওয়ার্ড’ এর মেগা আয়োজন বাংলাদেশের চলচিত্র তারকা, সংগীত শিল্পী ও কলাকুশলীদের মহামিলন মেলায় রূপ নেয়। চলচ্চিত্রের বিভিন্ন শাখায়, সিনেমার কলাকুশলীদের পুরস্কার দেওয়া হয়। শিল্পীরা যাতে তাঁদের কাজের যথার্থ সম্মান অর্জনের মাধ্যমে পরবর্তী কাজে বিপুল উৎসাহ নিয়ে কাজ করতে পারে, সেজন্য কাজ করছেন। বাংলা সিনে অ্যাওয়ার্ড এর প্রতিটি আয়োজন জাঁকজমকপূর্ণ হওয়া এবং আয়োজনে দর্শক সমাগম হওয়ার পেছনে রয়েছে তার উদ্যোগ ও প্রচেষ্টা। তার পরিশ্রমের ফলে আমেরিকার মূলধারার মানুষ, বিভিন্ন সংষ্কৃতি ও দেশের মানুষসহ বাংলাদেশ ও ভারতবর্ষের
মানুষের কাছে এই আয়োজন বেশ গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে।

করোনাকালীন লকডাউন, বিভিন্ন দেশের সাথে যোগাযোগ বন্ধা থাকা এবং উন্মুক্ত স্থানে অনুষ্ঠানের আয়োজন বন্ধ কার কারণে গত দুই বছর বাংলা সিনে অ্যাওয়ার্ড আয়োজন স্থগিত ছিল। আগামী অক্টোবর মাসে আবারও বাংলা সিনে অ্যাওয়ার্ড আয়োজন করার পরিকল্পনা করছেন। বাংলাদেশের বিজয়ের পঞ্চাশ উদ্যাপন উপলক্ষে এবারের আয়োজনে মুক্তিযুদ্ধ ও দেশাত্মবোধক সিনেমার প্রতি বেশি গুরুত্ব দেওয়া হবে।

তিনি বলেন, আমেরিকায় নতুন প্রজন্মের অনেকেই বেড়ে উঠছে, যাদের জন্ম আমেরিকায়, তাদের দাদা-দাদি বা পূর্ব পুরুষ বাংলাদেশের। নতুন প্রজন্মের কাছে বর্তমান বাংলাদেশের পরিচয় ও সংস্কৃতি তুলে ধরার জন্য আমাদের মনে হয়েছে সিনেমা অন্যতম মাধ্যম। কারণ সিনেমার ক্ষমতা আছে বেশি মানুষকে প্রভাবিত করার। সিনেমার নিজস্ব একটি ভাষা আছে। যে ভাষা আন্তর্জাতিক ভাষা। বাংলা সিনেমা দেখার মাধ্যমে, বাংলা গান শোনা ও গানের দৃশ্য দেখার মাধ্যমে আমেরিকার মানুষ বাংলাদেশের ছবি, বাংলাদেশের মানুষ, বাংলাদেশের মানুষের জীবন-যাপনের চিত্র, পোশাক, খাবার ও বাংলা সংস্কৃতির নানা দিক সম্পর্কে ধারণা পাবে। পাশাপাশি বাংলাদেশের সিনেমা ও বাংলা সিনেমার নির্মাতা ও কলাকুশলী সম্পর্কে আমেরিকানরা ধারণা পাবে। পরস্পরের মধ্যে সাংস্কৃতিক যোগসূত্র তৈরি হবে। প্রযোজকেরা চাইলে এই আয়োজনের মাধ্যমে বাংলা সিনেমার আন্তর্জাতিক বাজার খুঁজতে পারবেন।

রেডিওটুডে নিউজ/এমএস

সর্বশেষ

সর্বাধিক সবার কাছের