ফিলিস্তিনের অবিসংবাদিত এক বিশ্বনেতার কথা বলছি। প্যালেস্টাইন লিবারেশন অর্গানাইজেশন-পিএলও’র চেয়ারম্যান হয়ে যিনি ইসরায়েলি দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে আমৃত্যু লড়াই করেছেন কূটনৈতিকভাবে এবং যুদ্ধের ময়দানে। একই সাথে, অকুতোভয় এই বীর সারা বিশ্ব ঘুরে বেড়িয়েছেন ফিলিস্তিনি জাতির মুক্তির প্রতি সমর্থন আদায়ের জন্য। তিনি ফিলিস্তিন স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রতীক ইয়াসির আরাফাত।
মিশরের কায়রোর ইউনিভার্সিটি অব কিং ফুয়াদ ওয়ানে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ থেকে ১৯৫০ সালে গ্রাজুয়েট সম্পন্ন করেন তিনি। সেই সময় ইয়াসির ইহুদিবাদ ও জায়ানিজম সম্পর্কে পড়াশুনা করেন।
১৯৪৮ সালে আরব-ইসরায়েল যুদ্ধের সময়ে অন্যান্য আরবদের সঙ্গে ফিলিস্তিনের পক্ষে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন ইয়াসির আরাফাত। মুক্তির সংগ্রামকে এগিয়ে নিতে ১৯৬৪ সালে প্রতিষ্ঠিত প্যালেস্টাইন লিবারেশন অর্গানাইজেশন পিএলও’র চেয়ারম্যান ছিলেন আমৃত্যু। জীবনের একটা দীর্ঘ সময় তিনি ধর্মনিরপেক্ষ শীর্ষ রাজনৈতিক দল ফাতাহ মুভমেন্টেরও নেতৃত্ব দেন।
জীবনের শেষভাগে এসে ১৯৯১ সালে মাদ্রিদ সম্মেলন ও ১৯৯৩ সালের অসলো চুক্তি সহ ইসরায়েলী সরকারের সাথে কয়েক দফায় শান্তি আলোচনা করেন। ১৯৯৪ সালে অসলো শান্তি চুক্তির জন্য ইজহাক রবিন ও শিমন পেরেজ এর সাথে একত্রে নোবেল শান্তি পুরস্কার অর্জন করেন ইয়াসির আরাফাত। এরপর ১৯৯৬ সালের সাধারণ নির্বাচনে নির্বাচিত হন ফিলিস্তিনের প্রথম প্রেসিডেন্ট।
সারাজীবন মুক্তি সংগ্রামের মধ্যদিয়ে অতিবাহিত করা স্বাধীন ফিলিস্তিনের এই স্বপ্নদ্রষ্টা ২০০৪ সালে ফ্রান্সের প্যারিসে চিকিৎসারত অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন।
১৯২৯ সালের ২৪ আগষ্ট মিশরের কায়রোতে জন্মগ্রহণ করেন ইয়াসির আরাফাত। জন্মবার্ষিকীতে, ফিলিস্তিনি তথা বিশ্বের অসংখ্য গণমানুষের মুক্তির এই মহান নেতাকে স্মরণ করছি বিনম্র শ্রদ্ধায়।
রেডিওটুডে নিউজ/ইকে