নীল আর্মস্ট্রং
চাঁদের বুকে প্রথম অবতরণকারী ঐতিহাসিক অভিযাত্রী তিনি। এছাড়া, চৌকস মার্কিন নভোচারী, বৈমানিক আর সৈনিক হিসেবেও তার খ্যাতি ছিল পৃথিবীজুড়ে। চন্দ্রবিজয়ী অমর এই মানুষটি-নীল আর্মস্ট্রং।
১৯৬৯ সালের ২০ শে জুলাই যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ সংস্থা নাসার অ্যাপোলো ইলেভেন মিশনের অধিনায়ক হিসেবে, মাত্র ৩৮ বছর বয়সে চাঁদের বুকে প্রথম পা রাখেন আর্মস্ট্রং। সেখানে প্রায় আড়াই ঘণ্টা অবস্থানের সময়টিকে তিনি নিজের একটি ‘ছোট্ট পদক্ষেপ’ হিসেবে বর্ণনা করলেও ‘সমগ্র মানবজাতির বিশাল অগ্রগতি’ হিসেবে অভিহিত করেন।
চাঁদে আরোহণের পর বিশ্ব ভ্রমণের অংশ হিসেবে সে বছরের ২৭শে অক্টোবর চন্দ্রবিজয়ীদের বহণকারী বিমানটি অবতরণ করে, তেজগাঁওয়ের তৎকালীন ঢাকা এয়ারপোর্টে। তুমুল করতালি ও আনন্দ ধ্বনির মাধ্যমে তাদের বরণ করে নেয়া হয়। পরে মোটর শোভাযাত্রা সহকারে তৎকালীন হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে রাষ্ট্রীয়ভাবে আতিথেয়তা দেয়া হয় চন্দ্রবিজয়ীদের।
১৯৩০ সালের ৫ই আগষ্ট যুক্তরাষ্ট্রে জন্ম নেন নীল আর্মস্ট্রং। পড়াশোনা শেষ করার পর মার্কিন নৌবাহিনীর বৈমানিক হিসেবে কোরিয় যুদ্ধে অংশ নিয়ে তিনটি পদক অর্জন করেন।
চন্দ্রবিজয়ী দুই সহযোগী এডউইন অলড্রিন ও মাইকেল কলিন্সসহ নীল আর্মস্ট্রংকে প্রেসিডেন্ট মেডেল অব ফ্রিডম ছাড়াও ভূষিত করা হয় যুক্তরাষ্ট্রের সর্ব্বোচ্চ বেসামরিক পদক কংগ্রেস গোল্ড মেডেলে।
২০১২ সালের ২৫ আগষ্ট ৮২ বছর বয়সে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করেন প্রকৌশল বিভাগের এই অধ্যাপক। প্রথম চন্দ্রজয়ী বিরল ব্যক্তিত্ব হিসেবে পৃথিবীব্যাপী নিত্য স্মরণীয় একটি নাম নীল আর্মস্ট্রং।
রেডিওটুডে নিউজ/ইকে