শনিবার,

২০ এপ্রিল ২০২৪,

৭ বৈশাখ ১৪৩১

শনিবার,

২০ এপ্রিল ২০২৪,

৭ বৈশাখ ১৪৩১

Radio Today News

প্রিন্সেস ডায়ানা চলে যাবার চব্বিশ বছর

আবিদ আজম

প্রকাশিত: ২৩:৪৭, ৩১ আগস্ট ২০২১

আপডেট: ০৪:৫৬, ১ সেপ্টেম্বর ২০২১

Google News
প্রিন্সেস ডায়ানা চলে যাবার চব্বিশ বছর

প্রিন্সেস ডায়ানা

নান্দনিক সৌন্দর্য আর এক চিলতে লাজুক হাসি দিয়ে পৃথিবীর সব প্রান্তের মানুষের নজর কেড়েছিলেন এক লাস্যময়ী তরুণী। শুধু তাই নয়, নিজের স্বাতন্ত্র ব্যক্তিক্ত, দানশীলতা ও সামাজিক কর্মকান্ডের জন্য সকলের কাছে তিনি পেয়েছিলেন ইর্ষণীয় জনপ্রিয়তা। ঠিক যেন দুনিয়া কাঁপানো আলোচিত এক নাম প্রিন্সেস  ডায়ানা। 

১৯৬১ সালের ১ জুলাই ইংল্যান্ডে এক অভিজাত জন্মগ্রহণ করেন তিনি। ১৯৮১ সালে ব্রিটিশ যুবরাজ চালর্সের সঙ্গে বিয়ে হবার পর লেডি ডায়ানা ফ্রান্সেস স্পেন্সার থেকে হয়েছিলেন রাজবধূ প্রিন্সেস ডায়ানা। শাশুড়ি রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের আদেশক্রমে তাকে শুধু ডায়ানা, প্রিন্সেস অব ওয়েলস বলে সম্বোধনের অনুমতি দেয়া হয়। 

আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ডায়ানার দানশীলতার জন্য পরিচিত থাকলেও তার এই দাতব্য কার্যক্রম ঢাকা পড়ে যায় বিভিন্ন কেলেঙ্কারির গুজবে। নব্বইয়ের দশকে ডায়ানার প্রেমের কাহিনী সারা বিশ্বের পত্রপত্রিকায় ছড়িয়ে পড়ে। চার্লসের সঙ্গে বাগদানের পর জীবনব্যাপী ডায়ানাকে বলা হতো পৃথিবীর সবচেয়ে খ্যাতিমান মহিলা। ফ্যাশন, সৌন্দর্য, ও জনসচতনতা সৃষ্টিতে নিজ অবদান তাকে বিখ্যাত করেছে।
 
প্রচন্ড স্বাধীনচেতা স্বভাবের কারণে রাজকীয় কানুনবহির্ভূত অনেক কিছুর সঙ্গেই ডায়ানা জড়িয়ে গিয়েছিলেন বলে শোনা যায়। বিয়ের ছয় বছর পর প্রিন্স চার্লসের সঙ্গে ডিভোর্সের পর তার প্রিন্সেস উপাধি কেড়ে নেয়া হলেও, অসম্ভব জাদুকরী ক্ষমতাবলে ডায়ানা বিশ্বময় সবার চোখে আজও প্রিন্সেস রয়ে গেছেন। আর ব্রিটশ মসনদের উত্তরাধিকারীদের হিসেবে ডায়নার ছেলে রাজপুত্র উইলিয়াম দ্বিতীয় আর হ্যারি তৃতীয়।

১৯৯৭ সালের ৩১ আগষ্ট ফ্রান্সের প্যারিস শহরে ডায়ানার পেছনে সবসময় লেগে থাকা ফটোগ্রাফারদের থেকে দূরে থাকার জন্য খুব দ্রুত গাড়ি চালাচ্ছিলেন। আর তখনই মর্মান্তিক এক সড়ক দুর্ঘটনায় প্রেমিক দোদি আল ফায়েদসহ পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করেন ডায়ানা। তবে কোটি হৃদয়ের রাণী আর স্টাইল আইকন হয়ে, পরোপকারী ডায়ানা আজো বেঁচে আছেন সবার হৃদয়ের মধ্যমণি হয়ে।

রেডিওটুডে নিউজ/ইকে

সর্বশেষ

সর্বাধিক সবার কাছের