ফাইল ছবি
বয়স্ক মানুষ রয়েছে বাড়িতে? হাটুঁ বা কোমরের ব্যাথায় কাবু তবুও বাড়ির খুদেদের চেয়েও যেন পুজোর প্যান্ডেলে ঘোরার বায়নায় যেন তারাই এগিয়ে। শারীরিক অসুস্থতা সত্বেও পুজোর কটাদিন কিছুতেই বয়স্করা বাড়ির খাবার নয় বরং এ কটাদিন বাইরে খেতেই যেন আনন্দ পান তারা।
কিন্তু পরিবারের সার্বিক দায়িত্বে থাকা ব্যক্তি কিছুতেই বয়োজ্যেষ্ঠকে বাইরে নিতে সাহস পাচ্ছেন না। উচ্চ রক্তচাপ, হার্টের অসুখ, ডায়াবেটিসের মত রোগ নিয়েও বয়োজ্যেষ্ঠদের কিভাবে আনন্দ দেওয়া যায় তা নিয়ে চিন্তায় পড়তে হয়। উৎসবের আনন্দে নেওয়ার পর আচমকা কোন বিপদ হলে প্রতিরোধ করবেন কিভাবে? এসব বিষয় নিয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ মোতাবেক আগে থেকে পরিকল্পনা করে নিলে ঝক্কি ঝামেলা থেকে অনেকটাই পরিত্রাণ পাওয়া যায়।
বয়স্কদের হাঁটুর সমস্যা থাকলেও ধর্মীয় উৎসবে বাড়ির ভিতর বন্দী রাখা ঠিক নয়। সেক্ষেত্রে গাড়িতে করে বেড়িয়ে আনা যায়। প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে বাইরে যাবার সময় নি-ক্যাপ, লাম্বার বা সারভাইকাল বেল্ট ব্যবহার করলে সমস্যা কমবে। তবে তারপরও বেশি সময় বয়স্কদের বাইরে না থাকাই ভালো।
হাঁটার সময় ব্যাথার উপশমের জন্য ডাক্তারের দেওয়া ঔষধ দু একটা সাথে রাখুন। তবে বেশি সমস্যা না হলে ঔষধ খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
উচ্চ রক্তচাপ, হার্টের অসুখ, বা ডায়াবেটিসের জন্য অনেকেই নিয়মিত ঔষধ খেয়ে থাকেন। উৎসবের দিনগুলোতে এর ব্যাত্যায় যেন না ঘটে সেজন্য অ্যালার্ম দিয়ে রাখতে পারেন। তাহলে উৎসবে অনাকাঙ্খিত বিপদ থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে।
পুজোয় বা উৎসবের দিনে বাইরে খাওয়া যেতেই পারে সেক্ষেত্রে বয়স্কদের বেলায় মসলাদার খাবার এড়িয়ে চলা উচিত। প্রয়োজন পড়লে অ্যান্টাসিড খেতে হবে। তবে বাইরে একাধিকবার না খাওয়ায় উত্তম। তাছাড়া বাইরে খাবার সময় পরিবেশের পরিচ্ছন্নতার দিকে নজর দিতে হবে।
বয়স্করা অনেক সময় নিজেকে অপ্রয়োজনীয় মনে করেন। উৎসবের আয়োজনেও বেড়াতে যাবার ইচ্ছাপোশন না করে বরং নিজেকে গৃহবন্দী করে রাখেন। এমতাবস্থায় তাদের সাথে মন খুলে গল্প করুন। এক পর্যায়ে বুঝিয়ে বাইরে বেড়াতে নিয়ে যাবার চেষ্টা করুন।
এস আর