প্রতীকী ছবি
দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৮১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এতে দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ১৩ হাজার ৮৬৮ জনে।
পাশাপাশি একই সময়ে আরও ৬ হাজার ৫৮ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে, যা গত আড়াই মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ শনাক্ত সংখ্যা। এর আগে গত ১৩ এপ্রিল ৬ হাজার ২৮ জন শনাক্ত হয়েছিলেন। ফলে দেশে মোট করোনা শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৮ লাখ ৭২ হাজার ৯৩৫ জনে।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয় গত ২৪ ঘণ্টায় পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ১৯ দশমিক ৯৩ শতাংশ। তবে শুরু থেকে মোট পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৫৬ শতাংশ। মোট শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুহার এক দশমিক ৫৯ শতাংশ।
সরকারী ও বেসরকারী ব্যবস্থাপনায় এই পর্যন্ত মোট ৬৪ লাখ ৩৫ হাজার ৪৬৬টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে শনাক্ত হয়েছেন আট লাখ ৭২ হাজার ৯৩৫ জন। তাদের মধ্যে ২৪ ঘণ্টায় তিন হাজার ২৩০ জনসহ মোট সাত লাখ ৯৪ হাজার ৭৮৩ জন সুস্থ হয়েছেন। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯১ দশমিক ০৫ শতাংশ।
বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, গতকাল মারা যাওয়া ৮১ জনের মধ্যে ১১ থেকে ২০ বয়সী একজন, ২১ থেকে ৩০ বয়সী আটজন, ত্রিশোর্ধ্ব নয়জন, চল্লিশোর্ধ্ব নয়জন, পঞ্চাশোর্ধ্ব ১৮ জন এবং ষাটোর্ধ্ব ৩৬ জন রয়েছেন। আর বিভাগওয়ারী হিসাবে ঢাকা বিভাগে ১৩ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে সাতজন, রাজশাহী বিভাগে ২০ জন, খুলনা বিভাগে ২৩ জন, বরিশাল বিভাগে তিনজন, সিলেট বিভাগে পাঁচজন, রংপুর বিভাগে সাতজন ও ময়মনসিংহ বিভাগে তিনজন মারা গেছেন।
দেশের ৪০টি জেলা করোনা সংক্রমণের অতি উচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে। এগুলোর বেশিরভাগই সীমান্তবর্তী এলাকা। এক সপ্তাহে নমুনা পরীক্ষা ও রোগী শনাক্তের হার বিশ্লেষণ করে এ তথ্য জানিয়েছে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। বাংলাদেশের সংক্রমণ পরিস্থিতি নিয়ে মঙ্গলবার একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সংস্থাটি। এতে বলা হয়েছে ৬৪টি জেলার মধ্যে ৪০টিই সংক্রমণের অতি উচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে। এছাড়া সংক্রমণের মধ্যম ঝুঁকিতে আছে ৮টি জেলা। ডব্লিউএইচও’র ওই প্রতিবেদনে এও বলা হয়েছে ঢাকাতেও সংক্রমণের ঝুঁকি বেশি।
চুয়াডাঙ্গায় ২৪ ঘন্টায় ৪১টি নমুনা পরীক্ষার ফলাফলে সবারই করোনা শনাক্ত হয়েছে। সে হিসেবে সেখানে আক্রান্তের হার শতভাগ। সকালে চুয়াডাঙ্গার সিভিল সার্জন ডাক্তার এএসএম মারুফ হাসান সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন।
এদিকে করোনার সংক্রমণ ও উপসর্গ নিয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আরও ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। হাসপাতালটির করোনা আইসোলেশন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড এটি। এর মধ্যে ৮জন করোনা পজিটিভ ছিলেন। বাকি ১০জনের মৃত্যু হয়েছে উপসর্গ নিয়ে।