ভারতে করোনার পর এবার ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস বা কালো ছত্রাকের সংক্রমণ নিয়ে। ইতোমধ্যে ছত্রাকটিকে মহামারি হিসেবে ঘোষণা করেছে দেশটির সরকার। ভারতীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মানসুখ মান্দাবিয়া জানান, ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের সংক্রমণে ৪ হাজার ৩০০ জনের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এদের বেশিরভাগই করোনা রোগাী। কোভিড ১৯ মহামারির মধ্যেই এটি গোটা দেশে ছড়িয়ে পড়ছে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে।
ভারতের দ্বিতীয় কোভিড সঙ্কট হচ্ছে এই ব্ল্যাক ফাঙ্গাস। চলতি বছরের আগে ভারতে এর সংক্রমণ ছিলো বিরল। যদিও উন্নত দেশগুলির তুলনায় সেখানে এর সংক্রমণ প্রায় ৮০ গুণ বেশি। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন এর এক প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা যায়।
খবরে বলা হয়েছে, ব্ল্যাক ফাঙ্গাস বা মিউকোরমাইকোসিস সংক্রমণে নাক, চোখ ও অনেক সময় মস্তিষ্ককে প্রভাবিত করে। সাধারণত করোনা থেকে সুস্থ হওয়ার পর এর সংক্রমণ দেখা দেয়। দ্রুত চিকিৎসা না করা হলে, ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের ফলে মুখের স্থায়ী ক্ষতি হতে পারে, দৃষ্টিশক্তি হারাতে পারে। এমনবি মৃত্যুও হতে পারে । এই ফঙ্গাসে মৃত্যুঝুঁকি ৫০ শতাংসেরও বেশি।
ভারতের অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব মেডিকেল সায়েন্সেস জানিয়েছে, কোভিড -১৯ চিকিত্সার জন্য স্টেরয়েডের অত্যাধিক ব্যবহার রোগীদের প্রতিরোধ ক্ষমতাতে বাধাগ্রস্ত করে এবং তাদের কালো ছত্রাকের আক্রান্ত করে। এক্ষেত্রে ডায়াবেটিকসের রোগীদের ঝুঁকি একটু বেশি। আবার কিছু চিকিত্সকরা মনে করেন, কালো ছত্রাকের সংক্রমণ বৃদ্ধি এবং ডেল্টা ভেরিয়েন্টের মধ্যে একটি যোগসূত্র থাকতে পারে।
রেডিওটুডে নিউজ/এইচবি