শিষ্যকে ধর্ষণের অভিযোগে ভারতের স্বঘোষিত আধ্যাত্মিক গুরু আশারাম বাপুকে আবারও যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন দেশটির এক আদালত। এইসঙ্গে ৫০ হাজার টাকা জরিমানার সাজা দেন বিচারক। ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত গুজরাটের আশ্রমে ওই শিষ্যকে একাধিকবার ধর্ষণের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন তিনি।
আশারামের আইনজীবী এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবেন বলে জানিয়েছেন।
২০১৮ সালে ১৬ বছর বয়সী এক তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগে আশারাম বাপুকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। বর্তমানে তিনি যোধপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে আছেন।
১০ বছর আগে সুরাটের (Surat) বাসিন্দা এক মহিলা অভিযোগ করেছিলেন, মোতেরার আশ্রমে তাঁকে ধর্ষণ করেন আসারাম। ওই মামলায় আসারামের পরিবারের সদস্য এবং কয়েকজন শিষ্যও অভিযুক্ত ছিলেন। তাঁরা স্ত্রী লক্ষ্মী, ছেলে নারায়ণ সাঁই, মেয়ে ভারতী। চার শিষ্যা ধ্রুববেন, নির্মলা, জাস্সি ও মীরা। মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে ৭৭ বছর বয়সী ধর্মগুরুকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে ভারতীয় ফৌজদারি দণ্ডবিধির ৩৪২, ৩৫৪এ, ৩৭০ (৪), ৩৭৬, ৫০৬ ও ১২০ বি ধারায় মামলা দায়ের হয়। সেই মামলাতেই গান্ধীনগর আদালত (Gandhinagar Court) সোমবার দোষী সাব্যস্ত করে স্বঘোষিত ধর্মগুরু আসারাম বাপুকে। মঙ্গলবার যার সাজা ঘোষণা হল।
এছাড়াও ২০১৩ সালে যোধপুরের আশ্রমে ১৬ বছরের এক নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল আসারামের বিরুদ্ধে। এর পর ২০১৩ সালের আগস্ট মাসে ইন্দোর থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। ওই মামলায় ২০১৮ সালে যোধপুরের একটি আদালত ধর্মগুরুকে দোষী সাব্যস্ত করে। তার পর থেকে যোধপুরেই জেলবন্দি রয়েছেন আসারাম। এবার আরও একটি ধর্ষণের অভিযোগে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হল তাঁর।
রেডিওটুডে নিউজ/মুনিয়া