তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েফ এরদোগান (ফােইল ছবি)
তুরস্ক নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স এবং জার্মানিসহ ১০ দেশের রাষ্ট্রদূতকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়েছে। প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েফ এরদোগান দেশটির পররাষ্ট্র দপ্তরকে এ বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দিয়েছেন। সম্প্রতি ওই দশ রাষ্ট্রদূত দেশটির কারাবন্দী ব্যবসায়ি ও মানবাধিকার কর্মীকে ছেড়ে দিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানায়। এ ইস্যুটি কূটনৈতিক রীতি পরিপন্থী হওয়ায় তুরষ্ক এমন সিদ্ধান্ত নিলো।
আন্তর্জাতিক বার্তাসংস্থা সিএনএন জানিয়েছে, ইস্যুটি নিয়ে শুরু থেকেই হার্ড লাইনে ছিলো তুরস্ক। শনিবার এক বক্তব্যে প্রেসিডেন্ট এরদোগান বলেন, বিষয়টি নিয়ে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে নির্দেশনা দিয়েছি। কি করতে হবে আমি তাদের বলে দিয়েছি। মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছি যতদ্রুত সম্ভব ওই দশ রাষ্ট্রদূতের ক্ষেত্রে ‘পারসোনা নন গ্রাটা’ নীতি বাস্তবায়ন করতে।
প্রসঙ্গত, লাতিন ‘পারসোনা নন গ্রাটা’ একটি কূটনীতিক টার্ম। এর দ্বারা এমন বহির্দেশীয় ব্যক্তিকে বোঝায় যার নির্দিষ্ট কোন একটি রাষ্ট্রে অবস্থান ও প্রবেশ ঐ রাষ্ট্রের সরকার কর্তৃক নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। অর্থাৎ তিনি রাষ্ট্র কর্তৃক অগ্রহণযোগ্য ও অবাঞ্চিত। এটি ঘোষিত হলেই সংশ্লিষ্ট দেশ ওই কূটনীতিককে প্রত্যাহার করে নিতে বাধ্য হবে।
প্রেসিডেন্ট এরদোগান বলেন, রাষ্ট্রদূতরা যেহেতু তুরস্ককে বুঝতে পারেনি তাই তাদের অবিলম্বে দেশ ত্যাগ করা উচিত। সংশ্লিষ্ট দেশগুলির পররাষ্ট্র মন্ত্রক যদি তাদের ফিরিয়ে নিতে ব্যবস্থা না নেয় তবে পরবর্তী কোনো ঘোষণা ছাড়াই তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিবে আঙ্কারা।
অবাঞ্ছিত ওই দশ দেশের রাষ্ট্রদূতের তালিকায় রয়েছে- যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি, ফ্রান্স, কানাডা, ডেনমার্ক, নেদারল্যান্ডস, ফিনল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড, নরওয়ে ও সুইডেন।
এই রাষ্ট্রদূতরা দেশটির ব্যবসায়ি ও সমাজকর্মী ওসমান কাভালার মুক্তি দাবি করার পর এটাকে কূটনৈতিক শিষ্টাচার বহির্ভূত আখ্যা দিয়ে ইতোপূর্বে বিবৃতি দেয় তুরস্কের পররাষ্ট্র দপ্তর।
প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালে দেশটিতে সরকার বিরোধী আন্দোলনে ইন্ধন দেওয়ার অভিযোগের একটি মামলায় ২০১৭ সাল থেকে কারাগারে রয়েছেন ওসমান কাভালা।
রেডিওটুডে নিউজ/এমএস