গাজাগামী গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলায় অংশ নেওয়ার পর ইসরায়েল থেকে বহিষ্কৃত কয়েকজন আন্তর্জাতিক মানবাধিকারকর্মী গ্রেটা থুনবার্গের প্রতি ইসরায়েলি বাহিনীর খারাপ আচরণের অভিযোগ করেছেন। তুর্কি সাংবাদিক ও গাজা সুমুদ ফ্লোটিলার অংশগ্রহণকারী এরসিন সেলিক স্থানীয় মিডিয়াকে জানিয়েছেন, তিনি দেখেছেন কীভাবে ইসরায়েলি বাহিনী গ্রেটা থানবার্গকে ‘যন্ত্রণা দিয়েছে’। তাকে ‘টেনে হেঁচড়ে নেয়া হয়েছে’ এবং ‘ইসরায়েলি পতাকায় চুম্বন করতে বাধ্য করা হয়েছে’।
এ ঘটনায় মুখ খুলছে ইসরায়েল। তারা থুনবার্গকে নির্যাতনের অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তারা বলেছে, থুনবার্গ “ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষকে কোনো অভিযোগ জানাননি।” আল জাজিরা এ তথ্য দিয়েছে।
মালয়েশিয়ার কর্মী হাযওয়ানি হেলমি ও আমেরিকান অধিকারকর্মী উইন্ডফিল্ড বিয়াভারও ইস্তাম্বুল বিমানবন্দরে গ্রেটাকে নির্যাতনের বর্ণনা করেছেন। তিনি দাবি করেছেন, থুনবার্গকে জোরপূর্বক ধাক্কা দেওয়া হয়েছে এবং ইসরায়েলি পতাকার সঙ্গে প্রদর্শিত করা হয়েছে।
হেলমি বলেন, ‘এটা এক অমানবিক ঘটনা। আইডিএফ সেনারা আমাদের সাথে পশুর মতো আচরণ করেছে এবং আটককৃতদের খাবার, পরিষ্কার পানি ও ওষুধ দেয়া হয়নি।’
বিয়াভার বলেন, থানবার্গের সাথে ‘ভয়ঙ্করভাবে আচরণ করা হয়েছে’ এবং একটি কক্ষে জোরপূর্বক নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, যখন ফার-রাইট ন্যাশনাল সিকিউরিটি মন্ত্রী ইতামার বেন-গভির প্রবেশ করেছিলেন।
এছাড়াও গ্লোবাল ফ্লোটিলায় থাকা ইতালির সাংবাদিক লরেঞ্জো আগোস্তিনোও থানবার্গের প্রতি আচরণের কথা উল্লেখ করেছেন। তিনি তুরস্কের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম আনাদোলুকে বলেন, ‘গ্রেটা থানবার্গ, সাহসী একজন নারী, মাত্র ২২ বছর বয়সী। তাকে অপমানিত করা হয়েছে, ইসরায়েলি পতাকায় মোড়ানো হয়েছে এবং একটি ট্রফির মতো প্রদর্শিত করা হয়েছে।’
রেডিওটুডে নিউজ/আনাম

