গোয়ায় নাইটক্লাবে ভয়াবহ আগুন, প্রাণ গেল ২৩ জনের

রোববার,

০৭ ডিসেম্বর ২০২৫,

২৩ অগ্রাহায়ণ ১৪৩২

রোববার,

০৭ ডিসেম্বর ২০২৫,

২৩ অগ্রাহায়ণ ১৪৩২

Radio Today News

গোয়ায় নাইটক্লাবে ভয়াবহ আগুন, প্রাণ গেল ২৩ জনের

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশিত: ০৯:১৮, ৭ ডিসেম্বর ২০২৫

Google News
গোয়ায় নাইটক্লাবে ভয়াবহ আগুন, প্রাণ গেল ২৩ জনের

ভারতের উত্তর গোয়ার আরপোরা এলাকার একটি জনপ্রিয় নাইটক্লাবে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড। আচমকা সিলিন্ডার ফেটে আগুন লেগে যায় ক্লাবের একতলার রান্নাঘরে। তাতে ঝলসে মৃত্যু হয়েছে অন্তত ২৩ জনের। অধিকাংশই ওই নৈশক্লাবের কর্মী এবং ঘটনার সময় আটকে পড়েছিলেন রান্নাঘরে। তবে মৃতদের মধ্যে তিন থেকে চার জন পর্যটকও রয়েছেন বলে কয়েকটি সূত্রের দাবি। এই ঘটনায় অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছেন। গোয়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তাঁদের চিকিৎসা চলছে। 

মৃতদের পরিবারের জন্য দু’লক্ষ টাকা করে এবং আহতদের জন্য ৫০ হাজার টাকা করে আর্থিক সাহায্যের কথা ঘোষণা করেছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার।

গোয়ার বাগা সমুদ্রসৈকতের কাছে আরপোরায় জনপ্রিয় নৈশক্লাব বির্চ। শনিবার রাত ১২টার পরে সেখানে আচমকা আগুন লেগে যায়। তখন রাতের অনুষ্ঠান চলছিল। ক্লাবে অনেক পর্যটকও ছিলেন। প্রাথমিক ভাবে পুলিশের অনুমান, সিলিন্ডার ফেটেই এমন অগ্নিকাণ্ড। তবে এখনও নিশ্চিত করে কিছু বলা হয়নি।

আগুন লাগার খবর পেয়ে সাধারণ মানুষ এবং অধিকাংশ পর্যটককে ক্লাব থেকে নিরাপদে বার করে আনা হয়। কিছু ক্ষণের মধ্যেই ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ এবং দমকল। দমকলের একাধিক ইঞ্জিনের কয়েক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। আগুন নেবাতে রবিবার ভোর হয়ে গিয়েছিল।

গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ সাওয়ান্ত এই ঘটনার পর সমাজমাধ্যমে দুঃখপ্রকাশ করেছেন। লিখেছেন, ‘‘এটা গোয়ার জন্য খুব হৃদয়বিদারক একটা দিন। আরপোরায় একটা অগ্নিকাণ্ডে ২৩ জনের প্রাণ গিয়েছে। আমি গভীর ভাবে শোকাহত। এই কঠিন সময়ে মৃতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি।’’

শোকপ্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও। সমাজমাধ্যমে তিনি লিখেছেন, ‘‘গোয়ার অগ্নিকাণ্ড অত্যন্ত দুঃখজনক। যাঁরা প্রিয়জনকে হারালেন, তাঁদের প্রতি আমার সমবেদনা। আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি। গোয়ার মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে এ বিষয়ে আমার ফোনে কথা হয়েছে। রাজ্য সরকার সম্ভাব্য সকল প্রকাশ সাহায্য করছে।’’

গোয়ার ডিজিপি অলোক কুমারও ২৩ জনের মৃত্যুর সংখ্যা নিশ্চিত করেছেন। জানিয়েছেন, একতলার রান্নাঘরেই মূলত আগুন সীমাবদ্ধ ছিল। অন্যত্র খুব বেশি ছড়িয়ে পড়তে পারেনি। বেশিরভাগ দেহ উদ্ধার করা হয়েছে রান্নাঘর থেকে। মনে করা হচ্ছে, মৃতেরা এই নৈশক্লাবের কর্মচারী। এ ছাড়া, সিঁড়ি থেকে দু’টি দেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

রেডিওটুডে নিউজ/আনাম

সর্বশেষ

সর্বাধিক সবার কাছের