বৃহস্পতিবার,

২৫ এপ্রিল ২০২৪,

১২ বৈশাখ ১৪৩১

বৃহস্পতিবার,

২৫ এপ্রিল ২০২৪,

১২ বৈশাখ ১৪৩১

Radio Today News

আন্তর্জাতিক গবেষণার প্রতিবেদন

নতুন মিলিওনিয়ার হয়েছেন বিশ্বের অর্ধকোটি মানুষ

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৫:০২, ২৪ জুন ২০২১

আপডেট: ২৩:৫১, ২৪ জুন ২০২১

Google News
নতুন মিলিওনিয়ার হয়েছেন বিশ্বের অর্ধকোটি মানুষ

প্রতীকী ছবি (সংগৃহীত)

বৈশ্বিক মহামারী করোনার মধ্যেও ২০২০ সালে নতুন করে মিলিওনিয়ার হয়েছেন বিশ্বের অর্ধকোটি মানুষ। মহামারীর কারণে বিশ্বের অনেক দরিদ্র মানুষ যখন আরো দরিদ্র হয়েছেন তখন বিশ্বের কোটিপতিদের সংখ্যা আরো ৫২ লাখ বেড়ে ৫ কোটি ৬১ লাখে দাঁড়িয়েছে বলে সুইসের গবেষণা উঠে এসেছে। এই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে- বিশ্বের সম্পদের পরিমাণ বেড়েছে ৭,৪ শতাংশ। একুশ শতকের শুরুতে যে পরিমাণ মানুষের কাছে অন্তত ১০ হাজার ডলার এবং এক লাখ ডলার ছিল, তাদের সংখ্যা এখন তিনগুণ বেড়েছে। ২০০০ সালে এরকম মানুষের সংখ্যা ছিল ৫০ কোটি ৭০ লাখ। ২০২০ সালে এই সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৭০ কোটি।

গবেষকরা বলছেন, এই সম্পদ বৃদ্ধির কারণ হচ্ছে উদীয়মান অর্থনীতির দেশগুলোর সমৃদ্ধি বেড়েই চলেছে। বিশেষ করে চীনের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি বেড়েই চলেছে। এছাড়া উন্নয়নশীল দেশগুলোর মধ্যবিত্তদেরও বিকাশ হচ্ছে।

ক্রেডিট সুইসের প্রধান বিনিয়োগ ন্যানেত্তে হেচলার-ফায়ডহর্বে বলেছেন, মহামারীর কারণে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হওয় ব্যবসা এবং ব্যক্তিদের জন্য বিশ্বের সরকারগুলো এবং কেন্দ্রী ব্যাংকগুলো যে ব্যাপক অর্থনৈতিক সহায়তা প্রকল্প নিয়েছে, সুদের হার কমিয়েছে, তার ভুমিকা অনস্বীকার্য। এই কারণেই মহামারীর মধ্যেও বড় একটি সঙ্কট ঠেকিয়ে দেয়া গেছে।

তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো যে সুদের হারি কমিয়েছে, সম্ভবত তার কারণেই বড় প্রভাব পড়েছে। এটা একটা প্রধান কারণ যে, শেয়ারের দাম বেড়েছে। বাড়িরর মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে আমাদের বিবেচনায় একেকজন ব্যক্তির সার্বিক ধন সম্পদ বেড়েছে। এছাড়া ব্যাংক ঋণের সুদের হার বিশ্বব্যাপী কমে যাওয়ায় তার প্রভাব সরাসরি শেয়ারের দাম ও বাড়ি বা অ্যাপার্টমেন্টের ওপর পড়েছে। এ কারণে মানুষের ব্যক্তিগত সম্পদের পরিমাণও বেড়েছে।

শেয়ার বাজারের ক্ষতি কাটিয়ে ওঠা এবং বিশেষ করে বড়িঘরের মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় তাদের কোটিপতি হওয়ার পেছনে মূখ্য ভূমিকা রেখেছে। গবেষকরা বলছেন, ধনসম্পদ বৃদ্ধির বিষয়টি দেখা গেছে, মহামারীর কারণে অর্থনৈতিক ক্ষয়ক্ষতি থেকে যেন একেবারেই আলাদা একটা বিষয়।

অর্থনীতিবিদ এবং গ্লোবাল ওয়েলথ রিপোর্টের লেখক অ্যান্থনি শোরকস বলেছেন, মহামারীর কারণে বিশ্ব বাজারের ওপর একটি স্বল্পমেয়াদী প্রভাব পড়েছিল, কিন্তু ২০২০ সালের শেষ দিকে তার বেশিরভাগ কাটিয়ে ওঠা গেছে। বিশ্বের ধনীদের সম্পদ এই বিপদের মধ্যেও শুধু যে স্থিতাবস্থায় রয়েছে তািই নয়, বরং বছরের দ্বিতীয়ভাগে তা আরো বেড়েছে। তবে প্রাপ্ত বয়স্কদের সম্পদের পার্থক্য ২০২০ সালে আরো বেড়েছে।

শোরকস আরো বলেছেন, কিছু কিছু বিষয় ভবিষ্যতে সময়ের সাথে সাথে সংশোধন হতে পারে। যেমন কোনো একটা সময়ে ব্যাংকে সুদের হার আবার বাড়বে। তখন আবার সম্পদের মূল্য কমে যাবে।

 

সর্বশেষ

সর্বাধিক সবার কাছের