ছবি: রেডিও টুডে
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুইশিক্ষার্থীকে স্থানীয় কয়েক যুবক মারধর করায় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রায় আধা কিলোমিটার দূরে সড়ক অবরোধ করে প্রতিবাদ জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
শুক্রবার (৪ ফেব্রুয়ারি) বেলা দুইটা থেকে নগরের লায়ন্স স্কুল অ্যান্ড কলেজের সামনে শেরেবাংলা সড়ক অবরোধ করে রাখেন তারা।
প্রায় আড়াইঘণ্টা পর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, পুলিশ ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের আশ্বাসে তারা অবরোধ তুলে নেন।
সোনাডাঙা থানার ওসি মমতাজুল হক জানান, মারধরের ওই ঘটনায় ঘটনায় জড়িত নয়ন নামে একজনকে আটক করা হয়েছে। বিকেল সাড়ে ৪টা থেকে লায়ন্স স্কুল অ্যান্ড কলেজে শিক্ষার্থী, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রতিনিধি, স্থানীয় কাউন্সিলর সবাইকে নিয়ে বৈঠক হয়েছে। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা নিতে পারে।
সিসিটিভি ফুটেজ চেক করে ঘটনায় জড়িত অন্যদের গ্রেপ্তারের প্রক্রিয়া চলছে বলেও জানান ওসি মমতাজ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রবিষয়ক পরিচালক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শরীফ হাসান লিমন বলেন, ছাত্রদের সঙ্গে যেটা হয়েছে সেটি খুবই দুঃখজনক। আমরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলেছি। খুব দ্রুতই আমরা আবারও বসব। ওই এলাকার মানুষদের কথাও আমরা শুনতে চাই। আর ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে মামলার ব্যাপারটি নিশ্চিত করব।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জানান, শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের চতুর্থবর্ষের শিক্ষর্থী সুজন হোসেন ও ভাস্কর্য বিভাগের তৃতীয়বর্ষের শিক্ষার্থী আলহাজ মোল্লা মোটরসাইকেলে করে গল্লামারী থেকে নগরের ময়লাপোতা মোড়ের দিকে যাচ্ছিলেন।
লায়ন্স স্কুল অ্যান্ড কলেজের সামনে একটি ব্যক্তিগত গাড়ির সঙ্গে মোটরসাইকেলের ঘষা লাগে।
এ সময় ব্যক্তিগত গাড়ির চালক ও যাত্রী নেমে কয়েক যুবককে ডেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই দুইশিক্ষার্থীকে মারধর করেন। একজনকে জোর করে ব্যক্তিগত গাড়িতে করে ময়লাপোতার দিকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হয়।
ঘটনাস্থল থেকে কোনোরকম দৌড়ে পালিয়ে ওই দুইশিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রাবাসে ফেরেন।
এখবর ছড়িয়ে পড়লে বেলা দুইটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা নগরের গল্লামারী মোড় ও লায়ন্স স্কুলের সামনের সড়কে বাঁশ ফেলে অবরোধ করেন।
বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপের কারণে খুলনায় সকাল থেকে বৃষ্টির মধ্যে সড়ক অবরোধে বিপাকে পড়েন সড়কে চলাচলকারীরা।
পরে খুলনা মহানগর পুলিশের একাধিক কর্মকর্তা, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রবিষয়ক পরিচালক, স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলরসহ স্থানীয় গণ্যমান্যরা এসে শিক্ষার্থীদের শান্ত করেন। বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে অবরোধ তুলে নেন শিক্ষার্থীরা।
রেডিওটুডে নিউজ/ইকে