শনিবার,

২০ এপ্রিল ২০২৪,

৭ বৈশাখ ১৪৩১

শনিবার,

২০ এপ্রিল ২০২৪,

৭ বৈশাখ ১৪৩১

Radio Today News

টিপু হত্যার পরিকল্পনাকারী শুটার মুসাকে দেশে আনা হয়েছে

রেডিওটুডে রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১৭:২২, ৯ জুন ২০২২

Google News
টিপু হত্যার পরিকল্পনাকারী শুটার মুসাকে দেশে আনা হয়েছে

রাজধানীর মতিঝিল থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম টিপু এবং কলেজছাত্রী সামিয়া আফনান প্রীতি হত্যার অন্যতম সন্দেহভাজন নির্দেশদাতা সুমন শিকদার মুসা ওরফে শুটার মুসাকে ওমান থেকে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। পুলিশের তিন সদস্যের একটি দল তাকে নিয়ে দেশে পৌঁছেছেন।

মুসাকে নিয়ে আসা গোয়েন্দা পুলিশের এক কর্মকর্তা জানান, বৃহস্পতিবার (৯ জুন) সকাল ৯টার দিকে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মুসাকে নিয়ে আসা হয়। চট্টগ্রামে ট্রানজিট শেষে সকাল ১০টার দিকে তাকে নিয়ে ঢাকায় পৌঁছানোর কথা রয়েছে।

গত ৮ মে দুবাই থেকে ওমান যান শুটার মুসা। সেখানে সালালাতে আইয়ুব নবীর মাজার জিয়ারত করে দুবাই ফেরার পথে ১২ মে ওমান ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে গ্রেপ্তার হন তিনি।

পরে মুসাকে দেশের ফেরত আনতে গত সোমবার (৬ জুন) ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের মতিঝিল বিভাগের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার শাহিদুর রহমান রিপন, অতিরিক্ত উপ-কমিশনার রফিকুল ইসলাম ও পুলিশ সদর দপ্তরের এনসিবি বিভাগের সহকারী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফয়েজ উদ্দীন ওমানের রাজধানী মাসকাটে যান। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।

আওয়ামী লীগ নেতা জাহিদুল ইসলাম টিপু কিলিং অপারেশনের ১২ দিন আগে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হয়ে পালান মুসা। এরপর বাংলাদেশ পুলিশের পক্ষ থেকে তাকে বিদেশ থেকে ফেরানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়। মুসা প্রথমে দুবাই গেলেও পরে সেখান থেকে ওমান পালিয়ে যান। এরপর ওমানের সঙ্গে ইন্টারপোলের মাধ্যমে যোগাযোগ শুরু করে বাংলাদেশ।

জানা যায়, রাজধানীর শাহজাহানপুরে গুলিতে নিহত মতিঝিল থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম টিপুকে দুবাই বসে হত্যার পরিকল্পনা ও নির্দেশনা দেন সুমন শিকদার ওরফে মুসা। টিপু হত্যাকাণ্ডের ঠিক ১২ দিন আগে দুবাই চলে যান মুসা। দুবাই বসে হত্যার পুরো ছক কষেন তিনি। টিপুকে হত্যায় চুক্তি হয় ১৫ লাখ টাকা। এই ১৫ লাখ টাকা কে কত দেবে তাও ভাগ করে দেন মুসা। নয় লাখ টাকা দেন ওমর ফারুক। অবশিষ্ট ছয় লাখ টাকা দেন গ্রেফতার নাছির উদ্দিন ওরফে কিলার নাছির, আবু সালেহ শিকদার ওরফে শুটার সালেহ ও মুসা। দুবাই যাওয়ার আগে পাঁচ লাখ টাকা নিয়ে যান মুসা, হুন্ডির মাধ্যমে আরও চার লাখ টাকা মুসাকে দেওয়া হয়। বাকি ছয় লাখ টাকা দেশে হস্তান্তর করার চুক্তি হয়। ছয় লাখের মধ্যে র‍্যাব গ্রেফতারের সময় তিন লাখ ৩০ হাজার টাকা জব্দ করে। দুবাই থাকা মুসা ২০১৬ সালে রিজভী হাসান হত্যাকাণ্ডের চার্জশিটভুক্ত ৩ নম্বর আসামি।

রেডিওটুডে নিউজ/আনাম

সর্বশেষ

সর্বাধিক সবার কাছের