প্রতীকী ছবি
যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশের মোবাইল নম্বর স্পুফকারী ফিরোজ খন্দকারকে গ্রেফতার করেছে ডিবির সাইবার ইনভেস্টিগেশন বিভাগ। তার সহযোগী মো. রাকিবুল ইসলামকেও গ্রেফতার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৯ অক্টোবর) রাত ১টার দিকে ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার আজীমনগর ইউনিয়ন থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গতকাল সাইবার ইনভেস্টিগেশন বিভাগের ইন্টারনেট রেফারেল টিমের লিডার সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) ধ্রুব জ্যোতির্ময় গোপ এ তথ্য জানান। সাইবার পুলিশ জানায়, ফিরোজ খন্দকার গ্রেফতারের আগে হাতিয়ে নিয়েছেন লক্ষাধিক টাকা। তিনি ঢাকার খিলখাঁও থেকে কেরানীগঞ্জের মধ্যে বিভিন্ন বুথ থেকে এ প্রতারণার টাকা তোলেন। সন্দেহ এড়াতে মোটরসাইকেলে চড়ে বিভিন্ন বুথ থেকে অল্প অল্প করে টাকা তোলেন।
তবে শেষ রেহায় পাননি ফিরোজ খন্দকার। অভিযোগ পেয়ে পুলিশের সিটি সাইবার ইন্টারনেট রেফারেল টিম খিলখাঁও ও কেরানীগঞ্জের যেসব বুথ থেকে ফিরোজ খন্দকার টাকা তোলেন তার সবগুলোর ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করে। প্রযুক্তির সাহায্যে নানান তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে ফিরোজ খন্দকারকে সোমবার রাত ১টা ৫ মিনিটে ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলা আজীমনগর থেকে সহযোগীসহ গ্রেফতার করা হয়। শেখ ফজলে শামস পরশের মামলায় গ্রেফতার হলেও ফিরোজের নামে আরও তিনটি প্রতারণার মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
গোয়েন্দারা জানান, যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশের মোবাইল নম্বর স্পুফ করে সংগঠনের বিভিন্ন জেলার নেতাকর্মীদের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছিলেন এই ফিরোজ। এ কাজে ফিরোজ খন্দকার প্রথমে ইন্টারনেট থেকে যুবলীগের বিভিন্ন কমিটির গুরন্ডপত্ব পূর্ণ নেতাদের মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করেন। তিনি ডায়ালার অ্যাপের মাধ্যমে নম্বর স্পুফ করে তাদের কল করতেন। পরে সিটি সাইবারের ইন্টারনেট রেফারেল টিম প্রযুক্তি ও বুথের ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করে ফিরোজ খন্দকারকে শনাক্ত করে।
ফিরোজ খন্দকার এসব ফোন কলে সরাসরি টাকা চাইতেন না। বিভিন্ন কর্মসূচির কথা বলে তিনি যুবলীগ চেয়ারম্যান পরিচয়ে টাকা দাবি করে বিকাশ-রকেট নম্বর দিয়ে টাকা চাইতেন। সংগঠনের চেয়ারম্যানের কল পেয়ে নেতারা উৎফুল্ল মনে টাকা পাঠাতেন।
বিষয়টি জানাজানি হলে যুবলীগ চেয়ারম্যানের হয়ে ১৫ অক্টোবর রাজধানীর বনানী থানায় ওই প্রতারকের বিরুদ্ধে মামলা করেন ব্যারিস্টার রানা তাজউদ্দিন খান। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৪ ও ২৬ ধারায় মামলাটি করা হয়। এতে মোবাইল নম্বর ক্লোনিং করে টাকা দাবির অপরাধের কথা উল্লেখ করা হয়। মামলার পরপরই সাইবার সিটি তদন্তে নামে। তদন্তের এক পর্যায়ে ফিরোজ খন্দকারকে শনাক্ত করে সাইবার সিটি।
সূত্র জানায়, যুবলীগ চেয়ারম্যানের নাম করে তার ব্যবহৃত রবি নম্বরটি ক্লোন করে গত ৯ অক্টোবর প্রথম কল করা হয় গাইবান্ধা যুবলীগের সভাপতি সরদার মো. শাহীন হাসান লোটনের গ্রামীণফোন নম্বরে। সংগঠনের জন্য চাঁদা হিসেবে তাকে একটি রকেট নম্বরে টাকা পাঠাতে বলা হয়।
রেডিওটুডে নিউজ/ইকে