ফাইল ছবি
বাড়ির অন্যতম একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো রান্নাঘর। ঘরবাড়ি যত্নে রাখার পাশাপাশি রান্না ঘরেরও যত্ন নেওয়া উচিত। বরং রান্নাঘরের যত্নটা একটু বেশি পরিমাণেই নিতে হয়। কিন্তু দেখা যায়, আমরা ঘরবাড়ির ক্ষেত্রে যতটা বেশি যত্নবান, রান্না ঘরের ক্ষেত্রে ততটাই উদাসীন। তাছাড়া কর্মজীবী নারীরা ঘর এবং বাইরে একসাথে সামলে থাকেন। ফলে সবসময় সময় করে রান্নাঘর পরিষ্কার রাখা সম্ভব হয়ে ওঠে না।
তবে রান্নাঘরে তেল জল ও হলুদের ছড়াছড়ি। তাই ঠিকঠাক সময় মত রান্নাঘর পরিষ্কার না রাখলে এর দশা হবে বেহাল। তাই নিয়মিত একটু সময় বের করে রান্নাঘর পরিষ্কার রাখা উচিত।
# প্রথমেই রান্না ঘরের ডাস্টবিন আলাদা করা উচিত। সেক্ষেত্রে শুকনো ও তরল আবর্জনার জন্য আলাদা আলাদা ডাস্টবিন রাখা ভালো। এতে করে কাজের ঝামেলা কমবে। তাছাড়া যেসব জিনিস পচনশীল সেগুলো রান্নাঘরের ডাস্টবিনে না ফেলে বরং বাড়ির বাইরে যে ডাস্টবিন আছে সেখানে ফেললে ঝামেলা অনেক অংশে কমে যায়।
# আমরা অনেকেই রয়েছি, প্রতিদিন বাসন মাজার পর মাজনি পরিষ্কার করে রাখে না অথবা একই মাজুনি দীর্ঘদিন ধরে ব্যবহার করি। এটি কিন্তু একেবারেই ঠিক নয়। প্রতিদিন বাসন মাজার পর মাজুনি পরিষ্কার করে রাখা উচিত এবং সপ্তাহ অন্তর তা পরিবর্তন করা উচিত।
# প্রতিদিন রান্নার শেষে বেসিন ও সিঙ্ক পরিষ্কার করে রাখা উচিত। সেক্ষেত্রে রান্নার পর লিকুইড সোপ দিয়ে বেসিন পরিষ্কার করুন। এছাড়া খানিকটা ভিনিগার ও বেকিং সোডা দিয়েও কিন্তু দারুন ভাবে বেসিন ও সিঙ্ক পরিষ্কার করা সম্ভব।
# অনেকের বাড়িতেই রান্নাঘরে ফ্রিজ থাকে। সেক্ষেত্রে রান্না ঘরে দুর্গন্ধ এড়িয়ে চলতে ফ্রিজ পরিষ্কার রাখা জরুরী। ফ্রিজ পরিষ্কার রাখার জন্য কয়েক কুঁচি পাতিলেবুর পাতা ফ্রিজের মধ্যে রাখলে ভালো। খাবার দাবার ফ্রিজে বেশিদিন না রাখাই ভালো। ফ্রিজ চালু আছে কিনা তা খেয়াল রাখা উচিত। না হলে ফ্রিজের ভিতর খাবার পচে দুর্গন্ধ ছড়াবে।
এস আর