মানুষের শরীরের প্রতিটি অঙ্গ, প্রতিটি রেখা বা গঠন—সব কিছুই জ্যোতিষ ও সমুদ্র শাস্ত্রে বিশেষ গুরুত্ব রাখে। সেই তালিকায় পড়ে কানের গঠন ও কানে চুল গজানোর বিষয়টিও। বহু পুরাতন শাস্ত্র মতে, যাঁদের কানের উপরে বা ভিতরের দিকে অতিরিক্ত চুল থাকে, তাঁদের মধ্যে এক বিশেষ গুণ ও ভবিষ্যৎ সৌভাগ্যের ইঙ্গিত পাওয়া যায়।
কানে চুল গজানো মানে কী?
জ্যোতিষ মতে, যাঁদের কানে চুল গজায়, তাঁরা স্বভাবতই গভীর চিন্তাশীল, অন্তর্মুখী এবং আত্মবিশ্বাসী হন। সাধারণত এই ধরনের মানুষরা সহজে কারও প্রভাবেই চলেন না। সিদ্ধান্ত নিতে পারেন নিজের মতো করে, এবং ভবিষ্যতের প্রতি সচেতন থাকেন।
আর্থিক দিক থেকে কী বলে শাস্ত্র?
শাস্ত্র মতে, কানের ভিতরের দিকে চুল থাকলে সেই ব্যক্তি ভবিষ্যতে আর্থিক দিক থেকে উন্নতি করেন। হঠাৎ ভাগ্য ফেরার সম্ভাবনাও থাকে। অনেকে বলেন, এই ধরনের মানুষদের জীবনে ‘ধনযোগ’ প্রবল হয়—অর্থাৎ ভাগ্যচক্র ঘুরে যেতে পারে এক নিমেষে।
কান মানুষের শ্রবণেন্দ্রিয় হলেও জ্যোতিষ মতে এটি বুদ্ধির প্রতীক হিসেবেও ধরা হয়। যাঁদের কানে চুল থাকে, তাঁদের যুক্তি, বিশ্লেষণ করার ক্ষমতা এবং স্মৃতিশক্তি বেশ প্রখর হয়। শিক্ষাক্ষেত্রে অথবা বিচারধর্মী কাজে এঁরা বিশেষ দক্ষ হন বলেও বলা হয়।
শাস্ত্র মতে, কানে চুল গজানো ব্যক্তিরা পরিবারের প্রতি খুব যত্নশীল হন। তাঁরা ঘর ও বাইরে—দুই জায়গায় ভারসাম্য রেখে চলতে পারেন। সংসার বা সম্পর্ককে অনেক গুরুত্ব দেন। তবে, আত্মসম্মানবোধ প্রবল হওয়ার কারণে সম্পর্কের ক্ষেত্রে কখনও কখনও তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখাতেও পারেন।
রেডিওটুডে নিউজ/আনাম

