চলমান কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যে তৈরি পোশাক শিল্পসহ উৎপাদনমুখী কারখানা খোলার অনুমতির পর এবার দেশের সব হোটেল, রেস্তোরাঁ খুলে দেওয়ার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতি। সোমবার (২ আগস্ট) রাজধানীতে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক সংবাদ সম্মেলনে সরকারের প্রতি এই দাবি জানান সংগঠনের নেতারা।
তারা জানান, করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণে সরকার ঘোষিত চলমান বিধিনিষেধ (লকডাউন) আগামী ৫ আগস্ট শেষ হচ্ছে। এরপরই জীবন-জীবিকা বাঁচাতে আগামী শুক্রবার (৬ আগস্ট) থেকে সব ধরনের রেস্তোরাঁ খুলে দিন।
এ সময় খাদ্যপণ্যের অনলাইন ডেলিভারি কোম্পানির ক্ষেত্রে ১০ শতাংশ কমিশনে সুনির্দিষ্ট নিতিমালা প্রণয়ন করা ও নিয়ন্ত্রণেরও দাবি জানানো হয়। লিখিত বক্তব্য পাঠ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দেন সমিতির মহাসচিব ইমরান হাসান। তিনি বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে, হোটেল রেস্তোরাঁ, স্বাভাবিক নিয়ম অনুযায়ী খোলা রাখতে চাই। যদি সম্ভব না হয় সেক্ষেত্রে ৫০ ভাগ আসনে বসিয়ে হোটেল, রেস্তোরাঁ চালু করতে চাই।
তিনি বলেন, শুধুমাত্র তৈরি পোশাক খাত দেশের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেনি। হোটেল, রেস্তোরাঁ খাত তাদের পর্যায়ে অবদান রাখলেও এই খাতে কোনো সহযোগিতা বা প্রণোদনা দেওয়া হয়নি। আমাদের দাবি সহজ শর্তে, স্বল্প সুদে জামানতবিহীন এবং দীর্ঘমেয়াদী ঋণ দিতে এই খাতে ২০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দের দাবি জানাচ্ছি।
লকডাউনে খাত সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের সমস্যার বিষয়ে তিনি বলেন, দেশে ৬০ হাজার রেস্তোরাঁয় ৩০ লাখ কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং প্রায় ২ কোটি মানুষ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত। যারা এখন মানবেতর জীবনযাপন করছেন। দেশে শতকরা ৮০ ভাগ রেস্তোরাঁ বন্ধ রয়েছে।
এর আগে গত রোববার (১ আগস্ট) রাজধানীর নিউমার্কেটে দোকান মালিক সমিতির কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে আগামী শুক্রবার (৬ আগস্ট) থেকে সব ধরনের দোকানপাট, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বিপণিবিতান খুলে দেওয়ার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি।
রেডিওটুডে নিউজ/এএইচ