শুক্রবার,

২৯ মার্চ ২০২৪,

১৫ চৈত্র ১৪৩০

শুক্রবার,

২৯ মার্চ ২০২৪,

১৫ চৈত্র ১৪৩০

Radio Today News

ডানা মেলছে পায়রা সেতু, দক্ষিণে উৎসবের আমেজ

বরিশাল প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৪:২২, ২৪ অক্টোবর ২০২১

Google News
ডানা মেলছে পায়রা সেতু, দক্ষিণে উৎসবের আমেজ

ফাইল ছবি

দক্ষিণের কোটি মানুষের প্রত্যাশা পূরণে আজ ডানা মেলছে বহুল আকাঙ্খিত পায়রা সেতু। বরিশাল-পটুয়াখালী মহাসড়কে পায়রা নদীর ওপর নির্মিত পায়রা সেতু আজ (রোববার) যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সকাল ১০টায় গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি এই সেতু উদ্বোধন করবেন। সেতুটির উদ্বোধন উপলক্ষ্যে এ এলাকার মানুষের মধ্যে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। 

পায়রা নদীর ওপরে নির্মিত এই সেতু উদ্বোধনের মাধ্যমে রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশ থেকে নির্বিঘ্নে ভ্রমণের মূল কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠবে সমুদ্রকন্যা কুয়াকাটা। বরিশাল থেকে কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত বা পায়রা সমুদ্রবন্দর যেতে আর কোনো ফেরি থাকছেনা। ফলে এ রুটে সময় কমে বরিশাল থেকে কুয়াকাটা পৌঁছা যাবে মাত্র ২ ঘণ্টায়। পর্যটক আকর্ষণের পাশাপাশি অর্থনৈতিক উন্নয়নে আরো এগিয়ে যাবে বরিশালের ছয় জেলাসহ পুরো দক্ষিণাঞ্চল। 

এছাড়াও আগামী বছল পদ্মা সেতু চালু হলে রাজধানী ঢাকার থেকে কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত ও পায়রা সমুদ্রবন্দর পর্যন্ত সরাসরি সড়ক যোগাযোগ স্থাপিত হবে। এ রুটে ঢাকা থেকে কুয়াকাটা যেতে ৪ ঘণ্টার সময় বাঁচিয়ে পৌঁছা যাবে মাত্র ৫ ঘণ্টায়।

প্রকল্প সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, চট্টগ্রামের কর্ণফুলী সেতুর আদলেই এক্সট্রা ডোজ ক্যাবল পদ্ধতিতে পায়রা সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। সেতুর ১৬৭টি বক্স গার্ডার সেগমেন্টের কারণে দূর থেকে দেখলে মনে হয় এটি শূন্যে ভেসে আছে। ১ হাজার ৪৭০ মিটার দৈর্ঘ্যের এ সেতুটিতে বসানো রয়েছে ১৩০ মিটার দৈর্ঘ্যের বেশ কিছু পাইল। যা পাইল পদ্মা সেতুতে বসানো পাইলের থেকেও অধিক ক্ষমতাসম্পন্ন বলে জানিয়েছেন প্রকল্প পরিচালক। ৩২টি স্প্যানের মূল সেতুটি বিভিন্ন মাপের ৫৫টি টেস্ট পাইলসহ ১০টি পিয়ার পাইল ও পিয়ার ক্যাপের ওপর স্থাপিত।

পায়রা সেতু প্রকল্প কর্তৃপক্ষ জানায়, এই সেতু নির্মাণে ১ হাজার ৪৪৭ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে। এর মধ্যে ৮২ শতাংশ অর্থায়নে ছিল কুয়েত ফান্ড ফর আরব ইকোনমিক ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড এ্যাপেক্স ফান্ড। ২০১৩ সালের ১৯ মে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পটুয়াখালী-বরিশাল মহাসড়কের লেবুখালী ফেরিঘাটের দক্ষিণে এই সেতুর ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন।

২০১৬ সালের ২৪ জুলাই সেতুর কাজ শুরু হয়। ৩ দফা সময় বাড়িয়ে ৮ বছরে এ সেতুর কাজ শেষ করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। জয়েন্ট ভেঞ্চারে সেতু নির্মাণে লিডিং ঠিকাদার চীনের লো ঝিয়াং কোম্পানি। সেতুর অধিকাংশ মালামালও এসেছে চীন থেকে।

সেতু নির্মাণ প্রকল্পের পরিচালক প্রকৌশলী আব্দুল হালিম বলেন, সর্বোচ্চ জোয়ারেও নদীর উপরিভাগ থেকে ১৮.৩০ মিটার উঁচুতে থাকবে এ সেতুটি। ৪ লেনবিশিষ্ট এই সেতুর উভয় পাশে নির্মিত হয়েছে ১ হাজার ২৬৮ মিটার দৈর্ঘ্যের অ্যাপ্রোচ রোড। সেতুতে মনোরম আলোকসজ্জার পাশাপাশি নান্দনিকভাবে রং করা হয়েছে। সেতুর আলোতে ঝলমল করছে পায়রা নদী-সংলগ্ন এলাকা। দেশে এই প্রথম পায়রা সেতুতে বসানো হয়েছে হেলথ মনিটরিং সিস্টেম। ভূমিকম্প, বজ্রপাত এবং ওভারলোডেড গাড়ির ক্ষেত্রে এই সিস্টেম আগাম সংকেত দেবে। ফলে সেতুটি বড় ধরনের ক্ষতি থেকে রক্ষা পাবে- যোগ করেন প্রকল্প পরিচালক আব্দুল হালিম। 

রেডিওটুডে নিউজ/এমএস

সর্বশেষ

সর্বাধিক সবার কাছের