ছবি ইন্টারনেট
আজ শহীদ ডা. মিলন দিবস। ১৯৯০ সালের এই দিনে স্বৈরাচার এরশাদবিরোধী গণঅভ্যুত্থানে চিকিৎসক নেতা ডা. শামসুল আলম খান মিলন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের (টিএসসি) সামনে সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হন। সেই থেকে প্রতি বছর দেশের বিভিন্ন রাজনীতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন দিনটি শহীদ ডা. মিলন দিবস হিসেবে পালন করে আসছে। বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. শামসুল আলম খান মিলন নব্বইয়ের দশকে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের সংগঠক ছিলেন।
দিবসটি উপলক্ষে বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগঠন বিস্তারিত কর্মসূচি নিয়েছে। সকাল সাড়ে ৮টায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ঢাকা মেডিকেল কলেজ চত্বরে ডা. শামসুল আলম খান মিলনের সমাধিতে শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন, ফাতেহা পাঠ ও বিশেষ মোনাজাতের কর্মসূচির আয়োজন করেছে। এছাড়া চিকিৎসকদের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) পক্ষ থেকেও নানা কর্মসূচির আয়োজন করেছে।
দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। বাণীতে তারা গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা ও স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের বীর শহীদ ডা. মিলনের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন ও তার আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন।
ডা. শামসুল আলম খান মিলন পেশাগত সততা, দক্ষতা ও সাংগঠনিক কর্মতৎপরতায় ছিলেন অপ্রতিদ্বন্দ্বী। তিনি তৎকালীন বিএমএ’র নির্বাচিত যুগ্ম-সম্পাদক, ঢাকা মেডিকেল কলেজ শিক্ষক সমিতির কোষাধ্যক্ষ ও কলেজের বায়োকেমিস্ট বিভাগের প্রভাষক ছিলেন।
রেডিওটুডে নিউজ/এসজেএন/জেএফ