শুক্রবার,

১৯ এপ্রিল ২০২৪,

৫ বৈশাখ ১৪৩১

শুক্রবার,

১৯ এপ্রিল ২০২৪,

৫ বৈশাখ ১৪৩১

Radio Today News

‘পিতৃপরিচয় চাওয়ায় তাড়িয়ে দেয়া কিশোরের পাশে পুলিশ’

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ২৩:২৩, ২৩ জুন ২০২১

আপডেট: ২৩:২৬, ২৩ জুন ২০২১

Google News
‘পিতৃপরিচয় চাওয়ায় তাড়িয়ে দেয়া কিশোরের পাশে পুলিশ’

পিতৃপরিচয়হারা কিশোরের পাশে পুলিশ

কক্সবাজারের চকরিয়া থানার কৈয়ারবিল এলাকায় বাড়ি। সেখানে তার বাবার বাড়ি। রনির বয়স চৌদ্দ বছর। বর্তমানে থাকে পতেঙ্গায়। সেখানে একটি স্কুলে পড়ে। থাকে একটি হোস্টেলে। জন্মের আগেই সে যখন মাতৃগর্ভে তার মাকে ফেলে গেছে তার বাবা। সন্তান হি‌সে‌বে কোনো স্বীকৃতি মেলেনি তার। পিতার পরিচয় বিহীন এক দুর্বিসহ জীবন যাপন করছিল সে। তার বাবা পুনরায় বিয়ে করে দ্বিতীয় স্ত্রী সন্তান নিয়ে বিদেশে থাকে।

সম্প্রতি স্কুলে শিক্ষার্থীদের তথ্যভিত্তিক ডাটাবেজ তৈরী ও ইউনিক আইডি কার্যক্রম বাস্তবায়নের জন্য তার পিতৃপরিচয়ের প্রয়োজন হয়। পিতার জাতীয় পরিচয় পত্রের কপি প্রয়োজন হয় তার। তাই, সে তার বাবার বাড়িতে যায়। সেখানে তার বাবার দিকের আত্মীয় স্বজন তার সাথে অত্যন্ত দুর্ব্যবহার করে তাকে তাড়িয়ে দেয়। ক্রন্দনরত এই কিশোরের আহাজারি চোখে পড়ে এক সচেতন নারীর।

উক্ত নারী বাংলাদেশ পুলিশের মিডিয়া এন্ড পাবলিক রিলেশন্স উইং পরিচালিত ‘বাংলাদেশ পুলিশ অফিসিয়াল ফেইসবুক পেইজ’ এর ইনবক্সে বিষয়টি লিখিতভাবে জানান। এই বার্তাটি গ্রহণের পর মিডিয়া এন্ড পাবলিক রিলেশন্স উইং কক্সবাজার জেলার চকরিয়া থানার ওসি শাকের মোহাম্মদ যুবায়েরকে বার্তাটি প্রেরণ করে এই বিষয়টি তদন্ত করে উল্লিখিত কিশোরের পিতৃপরিচয় নিশ্চিত কর‌তে ও কি‌শো‌রের অ‌ভিভাবকত্বের দায়দা‌য়িত্ব নি‌শ্চিত কর‌তে প্রয়োজনীয় সকল উদ্যোগ নিতে নির্দেশনা দেয়।

ওসি চকরিয়া এ বিষয়ে এসআই গোলাম সারোয়ারকে দায়িত্ব দেন এবং অত্যন্ত আন্তরিকতার সাথে তিনি নিজে এ বিষয়টি দেখভাল করতে থাকেন। এসআই গোলাম সারোয়ার সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষের সাথে যোগাযোগ করেন। তদন্তে উক্ত কিশোরের পিতৃপরিচয় নিশ্চিত হয় পুলিশ। এরপর, উভয় পক্ষের সম্মতিতে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি ও জনপ্রতিনিধির সহায়তায় উক্ত কিশোরের পিতৃপরিচয়ের বিষয়টি সমাধান হয়।

অব‌শে‌ষে উক্ত কিশোর ছে‌লে‌টি সন্তান হিসেবে তার পিতার নিকট থেকে স্বীকৃতি পেয়েছে। এ বিষয়টি সমাধানে কক্সবাজার জেলার এসপি মো. হাসানুজ্জামান, পিপিএম সার্বিক তত্ত্বাবধান করেছেন।

বাংলাদেশ পুলিশের অফিসিয়াল ফেসবুক পেইজে এই বিষয়টি শেয়ার করেছেন পুলিশের এআই‌জি (মি‌ডিয়া এন্ড পাব‌লিক রি‌লেশন্স)  মো. সো‌হেল রানা।

সর্বশেষ

সর্বাধিক সবার কাছের