বৃহস্পতিবার,

২৮ মার্চ ২০২৪,

১৪ চৈত্র ১৪৩০

বৃহস্পতিবার,

২৮ মার্চ ২০২৪,

১৪ চৈত্র ১৪৩০

Radio Today News

জারি সারির বদলে এখন ওয়াজ মাহফিলের বিভ্রান্তিকর কথাবার্তা: হানিফ

ঢাবি প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ০৪:৪৫, ২২ অক্টোবর ২০২১

Google News
জারি সারির বদলে এখন ওয়াজ মাহফিলের বিভ্রান্তিকর কথাবার্তা: হানিফ

ছবি: রেডিও টুডে

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ বলেছেন, গ্রাম বাংলার শত বছরের ঐতিহ্য জারি-সারি ভাটিয়ালি গানের বদলে এখন সমাজের মধ্যে তার বদলে জায়গা করে নিয়েছে ওয়াজ মাহফিলের নামে বিভ্রান্তিকর কথাবার্তা।

তিনি বলেছেন, দীর্ঘকাল ধরে আমাদের সকল সম্প্রদায়ের মধ্যে একটা সম্প্রীতির বন্ধন ছিল, সেটি হারিয়ে গেছে। গ্রাম বাংলার শত বছরের ঐতিহ্য হারিয়ে গেছে। আজকে গ্রামে যাত্রা নেই, নাটক নেই, পালা গান নেই, জারি-সারি ভাটিয়ালি, পুথি গান এগুলো উঠে গেছে প্রায়, এগুলো সব বন্ধ হয়ে গেছে। এখন সমাজের মধ্যে তার বদলে জায়গা করে নিয়েছে ওয়াজ মাহফিলের নামে বিভ্রান্তিকর কথাবার্তা। 

আজ বৃহস্পতিবার (২১ অক্টোবর) বিকেলে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে দেশের বিভিন্ন স্থানে সাম্প্রদায়িক হামলা, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ ও হত্যার প্রতিবাদে গৌরব ৭১ নামে একটি সংগঠনের প্রতিরোধ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সমাবেশে ৭২ এর সংবিধানে ফিরে যাওয়ার দাবি জানানো হয়।

মাহবুব-উল-আলম হানিফ বলেন, জাতির পিতাকে হত্যার মধ্য দিয়ে এই বাংলাদেশে পাকিস্তানের প্রেতাত্মা জিয়াউর রহমান ক্ষমতা দখল করেই বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িকতার বীজ বপন করেছিলেন। এই স্বাধীন বাংলাদেশে ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ ছিল। জিয়াউর রহমান যুদ্ধাপরাধী জামায়াতে ইসলামকে রাজনীতি করার সুযোগ করে দিয়েছিলেন। কুখ্যাত রাজাকার গোলাম আযমকে বাংলাদেশে রাজনীতি করার সুযোগের মধ্য দিয়ে সাম্প্রদায়িকতার বীজ বপন করেছিলেন। 

তিনি বলেন, আজকে সমাজ থেকে সংস্কৃতি চলে গেছে এই বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য সকল সম্প্রদায়ের মানুষ রক্ত দিয়েছিল, জীবন দিয়েছিল, ৩০ লক্ষ মানুষ শহীদ হয়েছিল। জাতির পিতার স্বপ্নের বাংলাদেশ আজকে আমাদের মধ্য থেকে দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে। আমাদের অঙ্গীকার করতে হবে আমরা এ বাংলাদেশ থেকে  ধর্মান্ধ জঙ্গি গোষ্ঠীর চিরতরে নিপাত করতে চাই।

তিনি আরও বলেন, আমরা ধর্মপ্রাণ হতে চাই, আমরা ধর্মান্ধ হতে চাই না। ধর্মান্ধের মাধ্যমে সমাজকে কলুষিত করা হচ্ছে। স্বাধীনতা যুদ্ধের সময়ে ধর্মকে ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে আমাদের লক্ষ লক্ষ মানুষকে হত্যা করা হয়েছিল, মা-বোনদের উপর নির্যাতন করা হয়েছিল। আজকে ধর্মের অপব্যাখ্যা করে অন্য সম্প্রদায়ের ধর্ম পালনে বাধা দেয়া হয়েছে, যেটা কখনো বরদাস্ত করার মতো নয়। 

সমাবেশ শেষে সগঠনটির নেতাকর্মীদের নেতৃত্বে একটি লাঠিমিছিল বের হয়। মিছিলটি কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার হয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের সামনে এসে শেষ হয়।

রেডিওটুডে নিউজ/ইকে

সর্বশেষ

সর্বাধিক সবার কাছের