শনিবার,

১৯ জুলাই ২০২৫,

৪ শ্রাবণ ১৪৩২

শনিবার,

১৯ জুলাই ২০২৫,

৪ শ্রাবণ ১৪৩২

Radio Today News

কেন নতুন সংবিধান নয়, সংস্কার বেছে নিলেন ড. ইউনূস: প্রশ্ন ফরহাদ মজহারের

রেডিওটুডে রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০৯:০০, ১৯ জুলাই ২০২৫

আপডেট: ০৯:২৯, ১৯ জুলাই ২০২৫

Google News
কেন নতুন সংবিধান নয়, সংস্কার বেছে নিলেন ড. ইউনূস: প্রশ্ন ফরহাদ মজহারের

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস কেন নতুন সংবিধান রচনার বদলে সংস্কারের পথে এগোলেন- এ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন কবি ও রাষ্ট্রচিন্তক ফরহাদ মজহার। বাহাত্তরের সংবিধান সংস্কার করে রেখে দেওয়ার কথা যেসব মানুষ বলেন, তাদের চিন্তা ‘অত্যন্ত ক্ষতিকর’ বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।

শুক্রবার বিকালে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে ‘জুলাই নেটওয়ার্ক’ আয়োজিত ‘সংবিধানের ফাঁদ—সংবিধান ও গণসার্বভৌমত্ব নিয়ে জরুরি বয়ান’ শীর্ষক শহীদ আবু সাঈদ-ওয়াসিম স্মারক বক্তৃতায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

প্রসঙ্গক্রমে ফরহাদ মজহার বলেন, ‘যারা বলেন ৭২ এর সংবিধান সংস্কার করা যায়, তাদের সঙ্গে আমি একমত নই। তাদের চিন্তা অত্যন্ত ক্ষতিকর। তারা মূলত দিল্লির আধিপত্য ও ফ্যাসিস্ট শক্তিকে পুনরায় প্রতিষ্ঠা করতে চায়। ফ্যাসিবাদ থেকে মুক্তি মানে নতুন করে জনগণের অভিপ্রায়ের ভিত্তিতে এমন একটি বাংলাদেশ গঠন করা, যেখানে ফ্যাসিস্ট শক্তি আর টিকতে পারবে না।’

যারা ৭২ সালের সংবিধান লিখেছে, তারা পাকিস্তানি শাসনের জন্য নির্বাচিত প্রতিনিধি ছিলেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘পাকিস্তান থেকে ফিরে এসে তারাই সেই সংবিধান লিখে দিয়েছেন। এটা কেন পবিত্র হবে? কারণ দিল্লি লিখে দিয়েছে? স্বাধীনতার জন্য যে যুদ্ধ হয়েছিল, তা এই সংবিধান প্রণয়নের জন্য হয়নি।’

তিনি আরও বলেন, ‘৭১ সালে যুদ্ধ হয়েছিল স্বাধীনতার ঘোষণার জন্য, যেখানে সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচার ছিল। সেখানে সমাজতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা বা বাঙালি জাতীয়তাবাদ ছিল না। অথচ এই সংবিধান চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। গণঅভ্যুত্থানের পরও জনগণকে বাদ দিয়ে পুরনো প্রশাসন, পুলিশ, আদালত ও সেনাবাহিনীকে বহাল রাখা হয়েছে।’

ফরহাদ মাজহার বলেন, ‘ছাত্ররা চেয়েছিল নতুন জুলাই ঘোষণা হোক, সেটাই নতুন গঠনতন্ত্রের ভিত্তি হবে। কিন্তু তারা জনগণের সঙ্গে আলোচনা করেনি। জনগণ বাদ পড়ে গেছে।’ এ সময় তিনি ছয় মাসের মধ্যে আওয়ামী লীগের বিচার শেষ হওয়া উচিত ছিল বলে মন্তব্য করেন।

গোপালগঞ্জ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘গোপালগঞ্জ কি বাংলাদেশের বাইরে? সেখানে ছাত্ররা গেল কেন—এ নিয়ে প্রশ্ন তোলা হচ্ছে। কিন্তু খালেদা জিয়াও একসময় বলেছিলেন, ‘তোমরা কি গোপালী?’ বোঝা যায়, গোপালগঞ্জকে একটা আলাদা জায়গা হিসেবে দেখা হচ্ছে।’’

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সদস্য সচিব জাহিদুল করিম কচি এবং বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সালেহ নোমান।

রেডিওটুডে নিউজ/আনাম

সর্বশেষ

সর্বাধিক সবার কাছের