তিন জন উপদেষ্টা সরকারকে ভুল পথে নিয়ে যাচ্ছেন মন্তব্য তাদের অপসারণের দাবি জানিয়েছেন জামায়াতের নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের। তার অভিযোগ, প্রধান উপদেষ্টার জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণ একটি দলের পক্ষে অনুগত থাকার বহিঃপ্রকাশ মাত্র। এর মাধ্যমে সরকার নিরপেক্ষতা হারিয়েছে।
শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) আট দলের যৌথ সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি এইসব অভিযোগ করেন।
প্রধান উপদেষ্টার জাতির উদ্দেশে ভাষণের পর করণীয় ঠিক করতে বৃহস্পতিবার রাতে বৈঠকে বসে পাঁচ দফা দাবিতে আন্দোলনরত আট দল। আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানাতে শুক্রবার সকালে সংবাদ সম্মেলন করেন তারা।
অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন না হওয়ার শঙ্কা জানিয়ে ডা. তাহের বলেন, এই সরকার একটি দলের প্রতি অনুগত। সরকার সেই দলকে ক্ষমতায় আনার জন্য যেনতেনভাবে একটি নির্বাচনে দিকে যাচ্ছে। তবে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন না হলে দেশের জন্য গভীর অন্ধকার অপেক্ষা করছে।
সাংবাদিক সম্মেলনে জামায়াতের নায়েবে আমির অভিযোগ করেন, একটি দলের স্বার্থে সংস্কারে ব্যাপক পরিবর্তন এনেছে সরকার। পুরো জাতি চেয়েছিলো গণভোট আলাদা হবে। একটি বড় দল এক সঙ্গে চেয়েছে। কারণ কয়েকটি ছাত্র সংসদ নির্বাচনে জনমত তাদের বিপক্ষে গেছে। জনমনে তাদের ব্যাপারে নেতিবাচক মনোভাব তৈরি হয়েছে।
সংস্কার কমিশন এক প্যাকেজে হ্যাঁ/না ভোটের সুপারিশ করেছে। কিন্তু সেখানে চারটি পয়েন্টে ভাগ করে দেওয়া হয়েছে। এতোগুলো বিষয় বিশ্লেষণ করে ভোট দেওয়া মানুষের জন্য কষ্টসাধ্য হবে বলেও মন্তব্য করেন জামায়াতের নায়েবে আমির। বলেন, গণভোটে চারটি বিষয় যুক্ত করা প্রচলিত পদ্ধতি নয়।
কোনো দলের স্বার্থে সংস্কারে ভারসাম্য আনা সরকারের কাজ নয় বলেও মন্তব্য করে তার আরও অভিযোগ, এটা সুস্পষ্টভাবে অপ্রচলিত ও অন্যায়ভাবে একটি দলের নোট অব ডিসেন্টকে একোমোডেট করার জন্য এ ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
৫৪ বছরে বাংলাদেশে শাসকের পরিবর্তন হয়েছে, শোষণের কোনো পরিবর্তন হয়নি মন্তব্য করে তিনি বলেন, নেতৃত্বের ব্যর্থতাই এ জাতির সবচেয়ে বড় কলঙ্ক। একটি দল শুরু থেকেই সংস্কার চান না এমন মনোভাব পোষণ করে আসছে। আমরা বিশ্বাস করেছিলাম- ড. ইউনূস কোনো চাপের কাছে মাথা নত করবেন না। কিন্তু একটি দলের সঙ্গে ব্যাপক সমঝোতা করে জনগণের আকাঙ্খা আমলে না নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা ভাষণ দিয়েছেন।
রেডিওটুডে নিউজ/আনাম

