ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে যাত্রা শুরু করলো জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ (এনসিপি) ৩ দলের নতুন রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্ম ‘গণতান্ত্রিক সংস্কার জোট’। এনসিপি ছাড়াও জোটে থাকা অপর দু’টি দল হলো- রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন ও এবি পার্টি।
রোববার (৭ ডিসেম্বর) বিকেলে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) এক সংবাদ সম্মেলনে এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম নতুন এই জোটের ঘোষণা দেন।
নাহিদ ইসলাম জানান, এই জোট কেবল নির্বাচনি জোট নয়, রাজনৈতিক জোট। গণ-অভ্যুত্থানকে বাঁচিয়ে রাখতে এই জোট কাজ করবে। জোটে অন্তর্ভুক্ত হতে আরও কিছু সংগঠন, দল ও রাজনৈতিক শক্তির সঙ্গে আলোচনা চলমান আছে।
তিনি বলেন, নির্বাচনের পর সংস্কার প্রক্রিয়া চলমান থাকবে কিনা, তা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে। ঐকমত্য কমিশনের দীর্ঘ আলোচনাও অনেক ক্ষেত্রে হতাশ করেছে, তাই কাঙ্ক্ষিত দেশ ও নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত গঠনে এই জোট কাজ করে যাবে। কেবল ভোটের জন্য এই জোট নয়। এ সময় গায়ের জোরে নির্বাচন বা ধর্মের নামে বিভ্রান্ত করার প্রচেষ্টা সফল হবে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
এদিন সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামকে ‘গণতান্ত্রিক সংস্কার জোটের’ মুখপাত্র হিসেবে ঘোষণা করেন এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু। এ সময় তিনি বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের অঙ্গীকার ও প্রত্যাশা অনুযায়ী বাংলাদেশকে একটি নতুন রাজনৈতিক ব্যবস্থা দেয়ার লক্ষ্যে আমরা ৩ দল হাতে হাত মিলিয়েছি। পুরনো রাজনীতি দিয়ে ফ্যাসিবাদের পতন করা যায়নি। নতুনরা চ্যালেঞ্জ করেছিল বলেই ফ্যাসিবাদের পতন হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সভাপতি হাসনাত কাইয়ুম বলেন, আমরা সবেমাত্র ৩টি দল নিয়ে যাত্রা শুরু করেছি। তবে আমরা মনে করি না যে, শুধুমাত্র এই ৩ দলই অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষাকে ধারণ করে কিংবা পরিবর্তনের আকাঙ্ক্ষাকে ধারণ করে। এ সময় ভবিষ্যতে অন্যরাও জোটে যুক্ত হবেন বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
নতুন রাজনৈতিক ঘোষণাকালে অন্যদের মধ্যে এনসিপির সদস্য সচিব আখতার হোসেন, মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম, যুগ্ম সদস্য সচিব এসএম সাইফ মোস্তাফিজ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
রেডিওটুডে নিউজ/আনাম

