বুধবার,

২৪ এপ্রিল ২০২৪,

১০ বৈশাখ ১৪৩১

বুধবার,

২৪ এপ্রিল ২০২৪,

১০ বৈশাখ ১৪৩১

Radio Today News

৭৩ বছরে আওয়ামী লীগ: গৌরব, ঐতিহ্য ও সংগ্রামের সাত দশক

মোসকায়েত মাশরেক

প্রকাশিত: ০০:০৯, ২৪ জুন ২০২১

আপডেট: ০৩:১৭, ২৪ জুন ২০২১

Google News
৭৩ বছরে আওয়ামী লীগ: গৌরব, ঐতিহ্য ও সংগ্রামের সাত দশক

৭০ এর নির্বাচনে জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদে সবচেয়ে বেশি আসন লাভের পর আওয়ামী লীগ নেতাদের সাথে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান

স্বাধীনতার পর প্রথম তিন বছর রাষ্ট্রীয় শাসনভার ছিল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপর। যে সরকারের নেতৃত্ব দেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। এরপর টানা ২১ বছর বিরোধী দলে থেকে লড়াই-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে ১৯৯৬ সালে আবারো রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসে দলটি। যে সরকারের নেতৃত্ব দেন বঙ্গবন্ধুকণ্যা শেখ হাসিনা। এরপর ২০০৯ সাল থেকে টানা ১২ বছর, সব মিলিয়ে ২০ বছর দেশ শাসনের ভার পেয়েছে দেশের সবচেয়ে প্রাচীন এই দলটি।

এই সময়ে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার বিপুল অবকাঠামোগত উন্নয়নের পাশাপাশি অর্থনৈতিক সক্ষমতায় দেশকে এনে দিয়েছে বৈশ্বিক স্বীকৃতি। মানুষের জীবযাত্রার মানোন্নয়ন ঘটেছে। এত সাফল্যের মাঝেও নির্বাচন ব্যবস্থা নিয়ে সমালোচনা রয়েছে বিরোধী শিবিরে। সমালোচনা রয়েছে প্রশাসন নির্ভরতা নিয়ে। বিষয়গুলো নিয়ে কথা বলেছিলাম আওয়ামী লীগের বর্ষিয়ান নেতা তোফায়েল আহমেদের সাথে।

১৯৬৯ সালে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা থেকে মুক্তির পর মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী ও মাওলানা আবদুর রশিদ তর্কবাগীশের সঙ্গে বঙ্গবন্ধু

সাবেক মন্ত্রী তোফায়েল আহমেদে বলেন, “২০১৪ সালে বিএনপি নির্বাচনে না আসার দায় কিছুতেই আওয়ামী লীগের উপর বর্তায় না। ২০১৪  সালের ৫ই জানুয়ারি নির্বাচন না করা... তখন যদি নির্বাচন করতো বিএনপি, তাহলে আজকে বিএনপির এ করুন অবস্থা হত না।”

আওয়ামী লীগকে উপমহাদেশের সবচাইতে সংগঠিত রাজনৈতিক দল বলে আখ্যায়িত করে তোফায়েল আহমেদ বলেন, “বাংলার  ভাগ্য নিয়ন্ত্রক বাঙ্গালীদেরই হতে হবে। আওয়ামী লীগের বিজয় হয়েছে বলেই আজ বাংলার ভাগ্য নিয়ন্ত্রক বাঙ্গালীরা হতে পেরেছে।”

১৯৫৩ সালের ডিসেম্বরে যুক্তফ্রন্টের নির্বাচন প্রাক্কালে প্রার্থী মনোনয়ন বৈঠক

১৯৪৯ সালের এই দিনে ঢাকার ঐতিহ্যবাহী এ কে এম দাস লেনের রোজ গার্ডেনে আওয়ামী মুসলিম লীগ নামে এই দলের আত্মপ্রকাশ ঘটে। প্রতিষ্ঠার শুরুতে আওয়ামীলীগের নেতৃত্বে ছিলেন মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও শামসুল হকের মতো প্রথিতযশা নেতারা। পরে মুসলিম শব্দটি বাদ দিয়ে আওয়ামীলীগ নাম নিয়ে সংগঠনটি বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে মুক্তি সংগ্রামে নেতৃত্ব দেয়।

ঐতিহাসিক রোজ গার্ডেন

৭৫ এ ঘাতকের বুলেটে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু স্বপরিবারে নিহত হওয়ার পর বেশ কয় বছর সংগঠন হিসেবে আওয়ামীলীগ যখন খুব খারাপ সময় কাটাচ্ছিল তখন ১৯৮১ সালে দলটির সভাপতির দায়িত্ব পান বঙ্গবন্ধু কণ্যা শেখ হাসিনা। নানা চড়াই উৎরাই পার হয়ে ১৯৯৬ সালে প্রথম দফা এরপর ২০০৮ দ্বিতীয় দফা, ২০১৪ সালে তৃতীয় দফা এবং সর্বশেষ ২০১৮ সালে চতুর্থ দফায় রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসীন হয় আওয়ামীলীগ। যে সরকারের নেতৃত্ব দিচ্ছেন বঙ্গবন্ধু কণ্যা শেখ হাসিনা। দীর্ঘ ৭২ বছরের পথপরিক্রমায় সংগঠন হিসেবে আওয়ামীলীগের সফলতা-ব্যর্থতা সম্পর্কে কথা বলেছেন ইতিহাসবিদ সৈয়দ আনোয়ার হোসেন।

তিনি বলেন, “আওয়ামী লীগ দেশকে যা দিয়েছে তা উন্মুক্ত চিত্তে স্বীকার করব আমরা। তবে ধর্মান্ধ সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীর সাথে দলটির কৌশলগত সম্পর্ক আমাদের কাছে প্রশ্নবিদ্ধ। আনোয়ার হোসেন বলেন, বর্তমান আওয়ামী লীগ বাংলাদেশকে অনেক কিছু দিয়েছে। শেখ হাসিনা নানান দিক থেকে অত্যন্ত সফল নেত্রী।”

অসাম্প্রদায়িক প্রাচীন এই সংগঠনটির আগামী দিনের নেতৃত্ব তৈরিতে আরো মনোযোগ দেয়ার পরামর্শ দেন এই ইতিহাসবিদ।
 

সর্বশেষ

সর্বাধিক সবার কাছের