সেবা প্রদান করছেন চক্ষু চিকিৎসকরা
দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের ৩৭২জন সুবিধাবঞ্চিত রোগীরবিনামূল্যে চোখের ছানি অপারেশনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রতিরোধযোগ্য অন্ধত্ব দূরীকরণের লক্ষ্যে গত ১২ মার্চ, ২০২২ থেকে ২৯ মার্চ, ২০২২ পর্যন্ত নীলফামারী, ঠাকুরগাঁওও দিনাজপুরে আটটি চক্ষু শিবিরের আয়োজন করা হয়। মানবিক সাহায্য সংস্থা (এমএসএস)-এর নিজস্ব অর্থায়ন ও আই কেয়ার প্রোগ্রাম (ইসিপি)-এর দাতাগণের আর্থিক সহযোগিতায় এসব চক্ষু শিবির বাস্তবায়ন করা হয়।
দক্ষ চিকিৎসক, টেকনিশিয়ান ও চক্ষু পরীক্ষার আধুনিক যন্ত্রপাতির সাহায্যে চক্ষু শিবিরগুলোতে ২০২৫ জন দরিদ্র ব্যক্তিকে চক্ষুসেবা প্রদান করা হয়। চোখে ছানি শনাক্ত হয় ৫৩৩ জন রোগীর। প্রয়োজনীয় প্রেসক্রিপশনসহ ৩৮৩ জন রোগীকে চশমা প্রদান করা হয়। রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস পরীক্ষা করা হয়েছে ৫৫৫ জনের। এছাড়া রোগীদের মধ্যে৪৭০টি মাস্ক এবং চোখের যতেœ ৯০০ এরও বেশি সচেতনতামূলক প্রচারপত্র বিতরণ করা হয়।এছাড়া সংস্থার সহযোগী হাসপাতাল- সফিউদ্দীন আহমেদ ফাউন্ডেশন (সেফ), ঠাকুরগাঁও ও রংপুর চক্ষু হাসপাতাল, রংপুরে ছানি শনাক্ত রোগীদের অপারেশনের ব্যবস্থা করা হয়।
এমএসএস-এর প্রেসিডেন্ট জনাব ফিরোজ এম হাসান বলেন, “বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের সুবিধাবঞ্চিত জনসংখ্যার বেশিরভাগের কাছেই চক্ষু চিকিৎসা সেবা সহজলভ্য নয়।” তিনি আরও বলেন, “এ দূরত্ব ঘোচাতে মানবিক সাহায্য সংস্থা চালু করেছে আই কেয়ার প্রোগ্রাম, যাতে সংস্থাটি এসব অসহায় মানুষকে চক্ষুসেবা দিতে পারে।”
ইসিপি-এমএসএস ২০১৪ সাল থেকে বাংলাদেশে অসহায় মানুষের মধ্যে প্রতিরোধযোগ্য অন্ধত্ব দূরীকরণে কাজ করছে। এর আওতায় এখন পর্যন্ত ১,৩৫,০০০ এরও বেশি রোগীকে চক্ষুসেবা প্রদান করা হয়েছে। ১০,০০০ এরও বেশি রোগীর চোখের ছানি অপারেশন এবং চোখের অপ্রতিরোধ্য ত্রæটি সংশোধনে রোগীদের প্রায় ২৭,০০০ চশমা প্রদান করেছে মানবিক সাহায্য সংস্থা-এর আই কেয়ার প্রোগ্রাম।
রেডিওটুডে নিউজ/এসবি