ছবি: রেডিও টুডে প্রতিনিধি, গাইবান্ধা
আসছে বন্যা, ডুবে যেতে পারে ঘরবাড়ি ও গোয়াল ঘর। সেই সাথে ডুবে যেতে পারে গো-চারন ভুমি ও আশ্রয়স্থল। এই ভরা বন্যায় চারদিকে পানির সময় মানুষের পাশাপাশি গবাদী পশু নিয়ে পড়তে হয় মহা বিপদে। ডুবে যায় গো-চরন ভুমি ও গোখাদ্য। মানুষের খাবার জুটলেও জোটানো কঠিন হয়ে পড়ে গো-খাদ্য। তাই বানভাসী লোকজন এবার আগে থেকে গো-খাদ্য শুকিয়ে উঁচু ভিটায় মজুত করতে শুরু করেছে।
গাইবান্ধার গ্রামে গ্রামে মানুষ এখন নিজেদের পাশাপাশি গবাদি পশুর খাদ্য নিয়ে নতুন করে ভাবতে শুরু করেছে। আগে খড় বা পল শুকিয়ে মজুত রাখতো। পানি এলে সেসব খড় ডুবে যেতো পানিতে। বন্যার সময় যাতে অন্য জেলা থেকে বেশি দামে কিনে আনতে না হয় সেজন্য গৃহস্থদের নতুন উদ্যোগ।
এবার গাইবান্ধার বন্যা দুর্গত মানুষ তাদের গবাদী পশু রক্ষা করতে নতুন করে গুরুত্ব দিতে শুরু করেছে। বানভাসী মানুষ এবার তাদের জমির ধানের খড় বা পল শুকিয়ে মজুত করছে উচু স্থানে। গড়ে তুলেছেন খড়ের উঁচু উঁচু মাচা অথবা গাদা। বৃষ্টিতে যাতে ভিজে না যায় সেজন্য খড়ের মাচার বা গাদার উপড়ে পলিথিনে ভালো করে মুড়িয়ে দিচ্ছেন।
গৃহস্থ্যদের বক্তব্য বন্যার সময় মানুষের খাবার কিনতে পাওয়া গেলেও গবাদী পশু নিয়ে পড়তে হয় দুর্ভোগে। সে কারনে এবার গবাদী পশুর খাবার মজুত করছেন মাটি থেকে অনেক উচুতে মাচা করে। এবার বন্যায় গো-খাদ্যের আর সমস্যা হবার কথা নয়।
রেডিওটুডে নিউজ/ইকে/এসআই