বৃহস্পতিবার,

২৫ এপ্রিল ২০২৪,

১২ বৈশাখ ১৪৩১

বৃহস্পতিবার,

২৫ এপ্রিল ২০২৪,

১২ বৈশাখ ১৪৩১

Radio Today News

গাইবান্ধা-কুড়িগ্রাম সংযোগ: ৮শ কোটি টাকার তিস্তা সেতু দৃশ্যমান

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৭:৩৫, ১৫ জুলাই ২০২১

আপডেট: ১৭:৩৬, ১৫ জুলাই ২০২১

Google News
গাইবান্ধা-কুড়িগ্রাম সংযোগ: ৮শ কোটি টাকার তিস্তা সেতু দৃশ্যমান

ছবি: রেডিওটুডে প্রতিনিধি, কুড়িগ্রাম

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জের হরিপুর ঘাট থেকে তিস্তা নদীর উপর দিয়ে কুড়িগ্রামের চিলমারী পর্যন্ত এই বৃহৎ সেতুর জন্য দীর্ঘদিনের দাবি ছিলো গাইবান্ধা ও কুড়িগ্রামবাসীর। অনেক আন্দোলন সংগ্রামের পর বর্তমান সরকার এই সেতুর প্রয়োজনীয়তা লক্ষ করে সেতুর নির্মানের আশ্বাস দেন। 

মানুষের জীবন মানের উন্নয়নে তিস্তা সেতু ভুমিকা রাখবে বলে মনে করছেন এলাকাবাসী।  সুন্দরগঞ্জ এলাকার মানুষ হরিপুর ঘাট দিয়ে নৌপথে যোগাযোগ রক্ষা করতো রাজধানীসহ উত্তরাঞ্চলের সাথে। সেতু নির্মানের ফলে সহজেই যাতায়াত করতে পারবে কুড়িগ্রাম, নিলফামারী, লালমনির হাট, রংপুর, বগুড়ায়। এতে ব্যবসা, বাণিজ্য, চিকিৎসা সেবাসহ সকল সুযোগ সুবিধা পাবে গাইবান্ধার মানুষ। কমে আসবে পথের দুরত্ব ও  ভোগান্তি। 

২০১৪ সালের ২৫ জানুয়ারী বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে তিস্তা সেতুর আনুষ্ঠানিক ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। কিন্তু সেতুর মুল কাজ শুরু হয় ২০২১ সালের প্রথম দিকে। ৭৩০ কোটি ৮৫ লাখ টাকা বরাদ্দে এলজিইডির ব্যবস্থাপনায় নির্মাণ করা হবে তিস্তা সেতু।

এর মধ্যে ২৭৯ কোটি ৪৭ লাখ টাকা মূল সেতু নির্মাণে ব্যয় হবে। সড়ক নির্মাণে ব্যয় হবে ১০ কোটি ২৫ লাখ টাকা, নদী শাসনে ৮ কোটি ৫৫ লাখ টাকা এবং জমি অধিগ্রহণে ব্যয় হবে ৬ কোটি টাকা। সেতুটিতে পিলার থাকবে ৩০টি। সেতুর উভয়পাশে নদী শাসন করা হবে ৩.১৫ কিলোমিটার করে।

সেতুর উভয় পাশে সড়ক নির্মাণ করা হবে ৫৭. ৩ কিলোমিটার। ইতিমধ্যে সেতুর অনেকটা অংশ দৃশ্যমান হওয়ায় আনন্দে আছে কুড়িগ্রাম ও গাইবান্ধার মানুষ। অনেকেই আসছেন তিস্তা নদীর উপর বৃহৎ এই সেতুর কাজ দেখতে। ২০২৩ সালে শেষ হবে শেষ হবে তিস্তা সেতুর নির্মান কাজ। 

এই সেতু নির্মানের ফলে নদী ভাঙ্গন থেকে রক্ষা পাবো, দুই জেলার মানুষের সংযোগ এই সেতু নির্মান হলে সহজেই যোগাযোগ হবে ঢাকার সাথে উত্তরজনপদের। একই সঙ্গে স্বাস্থ্য-চিকিৎসা ও শিক্ষাব্যবস্থায়ও সুবিধা হবে। 
 

রেডিওটুডে নিউজ/ইকে/এসআই

সর্বশেষ

সর্বাধিক সবার কাছের