সংগৃহীত ছবি
আমাদের দুনিয়াতে কিংবা আখিরাতে সবচেয়ে বেশি সম্মানিত হয়ে থাকবে কুরআনের হাফেজগণ। কুরআন মাজীদে কোরআন হেফাজতকারীদের অনেক মর্যাদা এবং ফজিলতের কথা উঠে এসেছে। কোরআনের হাফেজদের মর্যাদা ঈর্ষান্বিত। ফেরেস্তা গনের শ্রেণীভুক্ত হয় কোরআনের হাফেজ কারীরা।
চলুন তাহলে জেনে আসা যাক কুরআনের হেফাজতকারী কিংবা হাফেজ কারীদের ফজিলত সম্পর্কে:
১. সাধারণ মানুষের তুলনায় কোরআনের হাফেজগন সবচেয়ে বেশি কোরআন মাজীদ তেলাওয়াত করে থাকেন। তাই কুরআন মাজীদ তেলাওয়াতকারীদের ঘর শয়তান থেকে যথেষ্ট নিরাপদ থাকে। মুসলিম বুখারী থেকে এসেছে যে, আমাদের নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন যে, 'তোমাদের ঘর গুলো কে তোমরা কবরে কখনোই পরিণত করো না, নিশ্চয়ই সে ঘর থেকে শয়তান পলায়ন করে যেখানে সূরা বাকারা পাঠ করা হয়।' (মুসলিম )
২. অন্য একটি হাদিসে এসেছে যে, নবীজি (সাঃ)বলেন,' পাঁচটি বস্তুকে পাঁচটি বস্তুর আগে গনিমত মনে কর, তোমার যৌবনকে তোমার বার্ধক্যের আগে, তোমার সুস্থতা কে তোমার অসুস্থতার আগে, তোমার অবসর তোমার ব্যস্ততার আগে, তোমার সচ্ছলতাকে তোমার অভাবের আগে, এবং তোমার জীবনকে তোমার মৃত্যুর আগে।
৩. কোরআন তেলাওয়াতকারী কোরআনের হেফাজ কারীদের প্রত্যেকটি আয়াত উচ্চারণের রয়েছে সুউচ্চ মর্যাদা। নবীজি (সাঃ ) বলেছেন, 'জান্নাতে কোরআন পাঠকারীদের কে বলা হবে কোরআন পাঠ করতে থাকো আর ওপরে চড়তে থাকো। তুমি দুনিয়াতে যেভাবে ধীরেস্থে পাঠ করতে সেভাবে পাঠ করো,তোমার তেলাওয়াতের শেষ আয়াতেই তোমার বাসস্থান হবে। (আবু দাউদ ১৪৬৪, তিরমিজি )
যে হাফেজদের অন্তরে কোরআন সংরক্ষিত, এবং যেসব মানুষ বেশি বেশি কোরআন তেলাওয়াত করে থাকে, তাদের জন্য আল্লাহতালা জান্নাতের বিশেষ স্থান নির্ধারণ করে রেখেছেন।
মহান রাব্বুল আলামিন বিশ্বের সকল মুসলিম উম্মাহকে কোরআন হেফজ করা এবং সুন্দর ভাবে কোরআন তেলাওয়াত করা এবং এর আমল করার সঠিকভাবে তাওফিক দান করুন।
(আমীন
এস আর