বিশ্বের বিভিন্ন দেশে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে বিভিন্ন ধরণের অনলাইন গেম খেলা। বিশেষ করে উঠতি বয়সী কিশোর-কিশোরী ও তরুণ-তরুনীদের মধ্যে গেম খেলার প্রবণতা ব্যাপকভাবে বেড়েছে। যা ধীরে ধীরে নেশায় পরিণত হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে অনলাইন গেমিং এর ওপর কড়াকড়ি আরোপ করেছে তথ্য-প্রযুক্তিতে বিশ্বের অন্যতম র্শীষ দেশ চীন।
এর অংশ হিসেবে বিগত কয়েক মাসে চীনের বিভিন্ন প্রযুক্তি ও বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর বিভিন্ন ধরণের বিধি-নিষেধ আরোপ করেছে চীনা কর্তৃপক্ষ। অভিযানও চালানো হচ্ছে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে। এতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন এসব প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগকারীরা।
সম্প্রতি চীনের রাষ্ট্রীয় একটি গণমাধ্যম ‘ইকোনমিক ইনফরমেশন ডেইলি’-তে প্রকাশিত একটি নিবন্ধে অনলাইন গেমিং-কে ‘বৈদ্যুতিক মাদক’ বলে উল্লেখ করা হয়। রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত সংবাদ মাধ্যমের এমন খবর প্রকাশের পর এর প্রভাব পড়ে দেশটির শেয়ার বাজারে। ব্যাপক দরপতন হয় টেনসেন্ট এবং নেটইজ নামের দুটি শীর্ষ গেম তৈরীকারক প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, অনলাইন গেমিং-কে বৈদ্যুতিক মাদক হিসেবে উল্লেখ করে খবর প্রকাশের পরপরই হংকং শেয়ার বাজারে চীনের অন্যতম বৃহৎ এই দুই অনলাইন গেমিং নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম ১০ শতাংশেরও বেশী কমে যায়।
তবে ইকোনমিক ইনফরমেশন ডেইলি’র অফিসিয়াল উইচ্যাট অ্যাকাউন্ট থেকে নিবন্ধটি সরিয়ে নিলে আবারও প্রতিষ্ঠান দুটির শেয়ারের দাম বাড়তে শুরু করে।
চীনের সিনহুয়া নিউজ এজেন্সির অঙ্গ-প্রতিষ্ঠান ইকোনমিক ইনফরমেশন ডেইলি’র ওই নিবন্ধে বলা হয়, অনেক উঠতি বয়সী তরুণ-তরুণী অনলাইন গেমিং-এ আসক্ত হয়ে পড়েছে; যা তাদের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।
নিবন্ধে আরো বলা হয়, শিক্ষার্থীরা প্রতিদিন ৮ ঘন্টারও বেশী সময় ধরে টেনসেন্ট-এর ব্যাপক জনপ্রিয় অনলাইন গেম ‘অনর অব কিংস’ (Honor of Kings) খেলে থাকে। নিবন্ধে টেনসেন্ট কোম্পানির ওপর কঠোর বিধি-নিষেধ আরোপের সুপারিশ করে আরো বলা হয়, কোনো শিল্প বা কোনো খেলা-ধুলা এমন কোনো উপায়ে বিকশিত হতে দেওয়া যাবে না যা একটি প্রজন্মকে ধ্বংস করে দেয় এবং ‘স্পিরিচুয়াল আফিম’ (spiritual opium)-এ পরিণত হয়।
এদিকে, এবিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের কথা জানিয়েছে টেনসেন্ট কর্তৃপক্ষ। পাশাপাশি ‘অনর অব কিং’ এর নতুন ফিচার চালুর কথাও জানিয়েছে তারা।
রেডিওটুডে নিউজ/ইকে/এসআই