বৃহস্পতিবার,

২৫ এপ্রিল ২০২৪,

১২ বৈশাখ ১৪৩১

বৃহস্পতিবার,

২৫ এপ্রিল ২০২৪,

১২ বৈশাখ ১৪৩১

Radio Today News

মেসির জন্য জাপানি কোম্পানির সোনায় মোড়ানো বুট

স্পোর্টস ডেস্ক

প্রকাশিত: ০২:৩৪, ৩ অক্টোবর ২০২২

Google News
মেসির জন্য জাপানি কোম্পানির সোনায় মোড়ানো বুট

লিওনেল মেসি

প্রজন্মের পর প্রজন্ম যাবে তবে কিছু ফুটবলার চিরস্মরণীয়ই হয়ে রইবে। যারা স্থান পাবে ইতিহাসের পাতায়, যারা কবিতা লিখবে কাব্যগাথায়। যাদের গল্প করবে মানুষ যুগ যুগ ধরে তাদেরই একজন লিওনেল মেসি। যিনি অর্জন করেছেন দুহাত ভরে। 

তিনি আনন্দ দিয়েছেন, তিনি বিমোহিত করেছেন। তাতে যেমন মুগ্ধ হয়েছে ফুটবল, তেমনি মুগ্ধ হয়েছে জাপানি একটি কোম্পানি। আর তাইতো যেই জাদুকরী পায়ের কল্যাণে মেসি বিশ্বকে অভিভূত করেছেন সেই পা সোনায় মুড়িয়ে দিয়েছে জাপানের এক জুয়েলারি কোম্পানি! 

সেই সোনায় মোড়ানো বুট পাওয়ার পর মেসি ইতিহাস গড়েছিলেন স্বর্ণাক্ষরেই! 

লিওনেল মেসি ফুটবলের এক অনিন্দ সুন্দর তারা, যিনি করতে পারেন প্রতিপক্ষকে দিশেহারা! মায়াবী চেহারা যেন প্রতিপক্ষকে করতে পারেন তছনছ। 

মুখে তার যতটা মায়া, মাঠের খেলায় প্রতিপক্ষের জন্য যেন ততটাই হিংস্র তিনি। যার কারণে ভক্ত থেকে প্রতিপক্ষ সবাইকে করতে পারেন মুগ্ধ। সবার মধ্যে তাই বাদ যায়নি জাপানের এক জুয়েলারি কোম্পানি। তবে তারা শুধু মুগ্ধতায় থেমে থাকেননি। আর তাই তো চেয়েছিলেন মেসির পা সোনায় মুড়িয়ে দিতে। 

যেমন সিদ্ধান্ত ঠিক তেমন কাজ। মেসির পায়ের মাপে শেষ পর্যন্ত তারা বানিয়েছিল একটি সত্যিকারের গোল্ডেন বুট, যার ওজন ছিল ২৫ কেজি। যার পিছনে তখন খরচ হয়েছিল ৫.২৫ মিলিয়ন! বাংলাদেশি মুদ্রায় যার দাম এখন প্রায় ৫ কোটি ২৫ লাখ টাকার উপরে।

এই ঘটনা যেন চোখ কপালে তুলে দেয়ার মত। কারণ এর আগে এভাবে কখনোই রেকর্ড তৈরি করে কারো পায়ের মাপে সোনার বুট বানানো হয়নি ফুটবল ইতিহাসে। প্রজন্ম তো নিজেদের ভাগ্যবান ভাবতেই পারে। একজন লিওনেল মেসিকে পেয়েছিল ফুটবল বিশ্ব, আর সে কারনেই হয়তো এরকম অনন্য জিনিসের দেখা পেয়েছিল তারা।

তবে হঠাৎ করেই কেন মেসির জন্য গোল্ডেন বুট বানাতে চেয়েছিল কোম্পানিটি? মূলত তার আগের বছর ফুটবল ইতিহাসে এক মৌসুমে সর্বোচ্চ ৭৩ এবং এক বছরে সর্বোচ্চ ৯১ গোলের অবিশ্বাস্য কীর্তি গড়েন মেসি। তাইতো মেসির এই অর্জনকে স্মরণীয় করতে তার পায়ের মাপ এ গোল্ডেন বুট বানাতে চেয়েছিল কোম্পানিটি!  

কিন্তু গোল্ডেন বুট যতটা আলোচনায় ছিল, তার চেয়ে বেশি আলোচনায় ছিল বার্সেলোনার চ্যাম্পিয়নস লিগ থেকে বিদায় নেয়ার সম্ভাবনা। উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের দ্বিতীয় রাউন্ডে এসি মিলানের বিপক্ষে প্রথম লেগে সান সিরোতে পিছিয়ে পড়ে ২-০ ব্যবধানে! মৃত্যুকূপ থেকে ফিরা যেমন কঠিন তেমনই কঠিন ছিল ঘুরে দাড়ান।

কারণ ইতিহাস বলে এর আগে কখনোই কোনো ফুটবল ক্লাব ২-০ থেকে পিছিয়ে পড়ে চ্যাম্পিয়নস লিগ মঞ্চে কাম ব্যাক করতে পারেনি। 

ইতিহাস দেখে কি হবে যখন দলে একজন লিওনেল মেসি থাকেন? দ্বিতীয় লেগে  তখন ম্যাচের শুরুতেই বার্সেলোনাকে দারুণ এক গোলে এগিয়ে দেন লিওনেল মেসি। প্রথমার্ধের শেষদিকে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন এই আর্জেন্টাইন। মেসিতেই শেষ হাসি ছিল তাদের। জয় পায় তারা ৪-০ তে। চলে যায় কোয়ার্টার ফাইনালে।

কিছুদিন আগে কেন মেসির পা সোনায় মুড়িয়ে দিতে চেয়েছিল জাপানি জুয়েলারি কোম্পানিটি, সেটা মাত্র ১ সপ্তাহেই প্রমাণ করে দেন লিওনেল মেসি। তার পা যে সোনার চেয়েও দামি,  এটা যে অমূল্য রত্ন। নামের পাশে সাতটি ব্যালন ডি'অর ৬টা গোল্ডেন বুট চারবারের সেরা প্লেমেকার পুরস্কার তো সেসব কথাই বলছে।

রেডিওটুডে নিউজ/এসবি

সর্বশেষ

সর্বাধিক সবার কাছের