শুক্রবার,

২৯ মার্চ ২০২৪,

১৫ চৈত্র ১৪৩০

শুক্রবার,

২৯ মার্চ ২০২৪,

১৫ চৈত্র ১৪৩০

Radio Today News

যে পাঁচ কারণে পাকিস্তানের কাছে ১০ উইকেটে হারলো ভারত

স্পোর্টস ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৮:০২, ২৫ অক্টোবর ২০২১

আপডেট: ২০:৫১, ২৫ অক্টোবর ২০২১

Google News
যে পাঁচ কারণে পাকিস্তানের কাছে ১০ উইকেটে হারলো ভারত

ফাইল ছবি

ভারতকে ২০২১ সালের টি-টোয়েন্টির ফেবারিট ধরেছিলেন বহু ক্রিকেটপ্রেমীরা। কিন্তু টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচেই পাকিস্তানের কাছে ধরাশায়ী হলো ভারত। তাও আবার সাধারণভাবে না, একেবারে ১০ উইকেটে হারলো ভারত।

কিন্তু কেন এ ভাবে হারতে হল কোহলিদের? এ নিয়ে কিছু কারণ খুঁজে বের করেছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার অনলাইন। রেডিও টুডে নিউজের পাঠকদের জন্য তা হুবহু তুলে ধরা হলো-

১। কোহলি টস হারায় আগে ব্যাট করতে বাধ্য হয়েছে ভারত। এটাই ম্যাচে সবথেকে বড় ব্যবধান গড়ে দেয়। ভারতের পাঁচ বোলার মোহাম্মদ শামি, যশপ্রীত বুমরা, ভুবনেশ্বর কুমার, রবীন্দ্র জাদেজা এবং বরুণ চক্রবর্তীর বোলিং দেখে পরিষ্কার বোঝা যায়, তাঁরা বল ঠিকমতো গ্রিপই করতে পারেননি। ভুবনেশ্বর, শামির হাত থেকে স্লোয়ার দেখা যায়নি। বুমরার ইয়র্কার দেখা যায়নি। পাকিস্তান টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিং করায় তাদের বোলারদের এই সমস্যা হয়নি।

২। কোহলি এবং ঋষভ পান্তে ছাড়া ভারতের আর কোনও ব্যাটসম্যানই রান পাননি। বিশেষ করে প্রথম ওভারেই রোহিত শর্মা আউট হয়ে যান। শাহীন আফ্রিদি পরের ওভারে তুলে নেন কেএল রাহুলকে। এরপর আর রান তোলার গতি বাড়াতে পারেনি ভারত। কোহলি ৫৭ রান করলেও স্ট্রাইক রেট খুব আহামরি নয়।
 
৩। হার্দিক পাণ্ডেকে খেলানো নিয়ে প্রশ্ন উঠবে। বিশ্বকাপের আগে জানানো হয়েছিল, হার্দিক সুস্থ, কিন্তু বল করবেন কিনা নিশ্চিত নয়। কিন্তু প্রথম ম্যাচে মাঠে যে হার্দিককে দেখা গেল, তিনি মোটেই সুস্থ নন। বলও করেননি। এরকম আধা সুস্থ ক্রিকেটারকে বিশ্বকাপের ম্যাচে কেন খেলানো হল? আইপিএল-এ ভাল বল করা রাহুল চাহারকে কেন খেলানো হল না?

৪। আইপিএল-এ খেলা ভারতীয় ক্রিকেটারদের যেমন অভিজ্ঞ করেছে, তেমনই বিশ্বের কাছে তাঁরা অনেক বেশি পরিচিত হয়ে গিয়েছেন। পাকিস্তানের ক্রিকেটাররা কেউ আইপিএল-এ না খেলায় তাঁদের শক্তি, দুর্বলতা সম্পর্কে অন্তত কোহলিদের কোনও ধারনা ছিল না। বরং পাকিস্তান সুপার লিগে খেলে বাবর আজম, শাহিন শাহ আফ্রিদিরা নিজেদের নিঃশব্দে তৈরি করেছেন।

৫। ফেভারিটের তকমা নিয়ে নামা কোহলিরাই যে চাপে ছিলেন, তা স্পষ্ট হয়েছে। বাবরদের হারানোর কিছু ছিল না। চাপহীন, ভয়হীন ক্রিকেট খেলে বাজিমাৎ করেছেন তাঁরা।

সর্বশেষ

সর্বাধিক সবার কাছের