শনিবার,

০৪ মে ২০২৪,

২১ বৈশাখ ১৪৩১

শনিবার,

০৪ মে ২০২৪,

২১ বৈশাখ ১৪৩১

Radio Today News

গাজীপুরের সমাবেশে গয়েশ্বরের হুশিয়ারি

`আন্দোলনের জন্য বিএনপি আর প্রশাসনের অনুমতির অপেক্ষা করবে না`

ইকবাল আহমদ সরকার, গাজীপুর প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২০:৫৫, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩

আপডেট: ২০:৫৭, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩

Google News
`আন্দোলনের জন্য বিএনপি আর প্রশাসনের অনুমতির অপেক্ষা করবে না`

গাজীপুর মহানগরীর টঙ্গী কলেজগেট এলাকায় সমাবেশে বক্তব্য রাখছেন বাবু গয়েশ্বর চন্দ্র রায়

আন্দোলন সংগ্রামের জন্য বিএনপি আর প্রশাসনের অনুমতির অপেক্ষা করবে না বলে জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। গাজীপুর মহানগরীর টঙ্গী কলেজগেট এলাকায় আজ মঙ্গলবার বিকেলে মহানগর বিএনপি আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। 

গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, আমাদের আন্দোলন ডু অর ডাই' হয় বাঁচব না হয় মরে যাব। শেখ হাসিনার অত্যাচার নির্যাতন সহ্য করে বাঁচতে একদম চাই না। তাই আমাদের সেজন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। শেখ হাসিনার পতন নিশ্চিত করে সুষ্ঠু, অবাধ নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের ভোটাধিকার রক্ষা করতে পারব। আমরা লড়ছি জনগণের জন্য। জনগণ পাশে থাকবে। আমাদের পুলিশ, এসপি, থানা কিছুই লাগবে না। 

বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য বাবু গয়েশ্বর চন্দ্র রায় আরো বলেছেন, অবৈধ এই সরকার নিজে নিজেই পড়ে যাবে। ক্ষমতায় থাকার জন্য যা যা যোগ্যতা থাকার দরকার তারা তা হারিয়েছে। তিনি বলেন, জনগণের ক্ষমতা জনগণের হাতে ফিরিয়ে দিয়ে জনগণকে শান্তিতে থাকতে দিন, তাহলে জনগণও আপনাদেরকে শান্তিতে থাকতে দিবে। তিনি বলেন, একাত্তরে স্বাধীনতার জন্য যুদ্ধ করেছি, আর এখন গণতন্ত্রের জন্য যুদ্ধ করছি। জনগণের টাকায় জনগণের বুকে আর একটি গুলিও চালাবেন না, চালালে যে চালাবে তাকে বের করার ক্ষমতা এদেশের জনগণের আছে। 

তিনি আরো বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশে মানুষ আজ পরাধীনভাবে জীবন যাপন করছে। মানুষের বাক স্বাধীনতা নেই, ভোটের অধিকার নেই, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা নেই। এ অবস্থায় সরকার আরেকটি পাতানো নির্বাচন করার চেষ্টা করছে। নির্বাচন করে তারা বলবে নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে। এই পাতানো নির্বাচনে অংশ নেয়ার জন্য ইতিমধ্যে কেনা বেচা শুরু হয়েছে। এই পাতানো নির্বাচনে কেউ পা বাড়ালে তার পা থাকবে না, জনগণ তাদের পা ভেঙ্গে দিবে। তিনি বলেন, আমরা ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য শুধু লড়াই করছি না। দেশের মালিক জনগণ, জনগণের মালিকানা ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য লড়াই করছি।
 
সরকারের পদত্যাগ, সংসদ বিলুপ্ত, নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন, বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির এক দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে আয়োজিত সমাবেশে মহানগর বিএনপির সভাপতি শওকত হোসেন সরকারে সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন। 

অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ঢাকা এনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মুক্তিযোদ্ধা হাসান উদ্দিন সরকার, জেলা বিএনপি সভাপতি ফজলুল হক মিলনসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ। 

সমাবেশে বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন,  মুক্তিযুদ্ধে মানুষ ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলনে নেমেছিল। মুক্তিযুদ্ধের পরে আজকে মানুষ ঐক্যবদ্ধভাবে আরেকটি যুদ্ধে নেমেছে। সেই যুদ্ধ হচ্ছে বাংলাদেশের মানুষের সাংবিধানিক, গণতান্ত্রিক, রাজনৈতিক অধিকার ফিরিয়ে পাওয়ার আন্দোলন। এই আন্দোলন হচ্ছে বাংলাদেশের জনগণের মালিকানা ফিরিয়ে পাওয়ার আন্দোলন, এই আন্দোলন হচ্ছে বাংলাদেশের মানুষের ভোটাধিকারি ফিরিয়ে দেওয়ার আন্দোলন, এই আন্দোলন হচ্ছে গণমাধ্যমের স্বাধীনতার আন্দোলন, বাক স্বাধীনতার আন্দোলন, জীবনের নিরাপত্তার আন্দোলন। বাংলাদেশের মানুষ আজ সিদ্ধান্ত নিয়েছে ফ্যাসিস্ট, অবৈধ দখলদার, অনির্বাচিত শেখ হাসিনাকে বিদায় দেওয়ার। এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে আজ লক্ষ জনতা মাঠে নেমেছে। এই আন্দোলন সফল সমাপ্তির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে ইনশা আল্লাহ। 

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ দলটাকে সম্পূর্ণ রাজনৈতিকভাবে ধ্বংস করে দেয়া হয়েছে। আওয়ামী লীগে এখন আর রাজনীতি নাই, এটি তাদের নেতাকর্মীরা বুঝে গেছে। তাদেরকে শিখিয়েছে কেমনে ভোট চুরি করতে হবে, কেমনে টেন্ডারবাজি করতে হবে, কেমনে জায়গা দখল করতে হবে, কেমনে অস্ত্রবাজি করতে হয়। আওয়ামীলীগ এখন আর কোন রাজনৈতিক দল নাই।

খসরু মাহমুদ চৌধুরী আরও বলেন, জনগণ আমাদের সঙ্গে রয়েছে। বিএনপির যুগপৎ আন্দোলনের সঙ্গে যারা রয়েছে তারা একটি লক্ষ্যে আন্দোলন করছে, আমাদের লক্ষ্যমাত্রা সরকারের পতন, স্বৈরাচার পতন। কেউ পিছিয়ে যাওয়ার জন্য আজকে প্রস্তুত নয়। জীবনের বিনিময়ে বাংলাদেশের মানুষ ঐক্যবদ্ধ হয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। আমাদের সাথে জনগন, তাদের সঙ্গে কেউ নাই। বাংলাদেশের মানুষও নাই, বিদেশীরাও নাই। 

সমাবেশ উপলক্ষে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা বৃষ্টি উপেক্ষা করে খন্ড খন্ড মিছিল নিয়ে দুপুরের আগেই অনুষ্ঠানস্থলে যোগ দেন। 

রেডিওটুডে নিউজ/এসবি

সর্বশেষ

সর্বাধিক সবার কাছের