
ইরানে শতাধিক সামরিক ও পারমাণবিক স্থাপনা লক্ষ্য করে চালানো ইসরায়েলের হামলায় নিহত হয়েছেন ইরানের দুই শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা এবং ছয়জন পরমাণুবিজ্ঞানী। এ ছাড়া ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হওয়া স্থাপনাগুলো। এমন নিখুঁত হামলা চালানোর পেছনে অন্যতম ভূমিকা রেখেছে ইসরায়েলের দুর্ধর্ষ গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ।
শুক্রবার (১৩ জুন) ইসরায়েলের সূত্রের বরাতে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, হামলার আগে ইরানে গোপন অভিযান পরিচালনা করেছিল মোসাদ কমান্ডোরা।
ইসরায়েলি নিরাপত্তা সূত্রমতে, শুক্রবার ইসরায়েলি হামলার আগে ইরানের গভীরে একাধিক গোপন অভিযান পরিচালনা করেছিল তারা।
এই অভিযানের মধ্যে ছিল ইরানের ভূমি থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা স্থাপনের কাছাকাছি খোলা জায়গায় নির্ভুলভাবে পরিচালিত অস্ত্র মোতায়েন, ইরানের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার বিরুদ্ধে ব্যবহৃত উন্নত প্রযুক্তি এবং তেহরানের কাছাকাছি একটি ড্রোন ঘাঁটি স্থাপন।
ইসরায়েলি সামরিক এক কর্মকর্তা জানিয়েছে, ইরানে হামলায় জড়িত সমস্ত ইসরায়েলি পাইলট নিরাপদে বাড়ি ফিরে এসেছেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিদেশি সাংবাদিকদের একটি দলের সাথে কথা বলার সময় ওই কর্মকর্তা বলেন, বিমান বাহিনী ইসরায়েলের দিকে লক্ষ্য করা ইরানি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রসহ একাধিক লক্ষ্যবস্তুতে একযোগে হামলা চালিয়েছে।
তিনি বলেন ‘আমরা ইতিমধ্যে অনেক কিছু অর্জন করেছি। ইরান ইসরায়েলের দিকে ১০০ টিরও বেশি ড্রোন ছুঁড়েছে, যার মধ্যে অনেকগুলো ইতোমধ্যেই আটক করা হয়েছে।
রেডিওটুডে নিউজ/আনাম