শনিবার,

২১ জুন ২০২৫,

৭ আষাঢ় ১৪৩২

শনিবার,

২১ জুন ২০২৫,

৭ আষাঢ় ১৪৩২

Radio Today News

ইরানে হামলার বিষয়ে কাদের সঙ্গে আলোচনা করছেন ট্রাম্প?

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৮:৫৮, ২০ জুন ২০২৫

Google News
ইরানে হামলার বিষয়ে কাদের সঙ্গে আলোচনা করছেন ট্রাম্প?

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় সম্ভাব্য সামরিক হামলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে তার ঘনিষ্ঠ উপদেষ্টাদের একটি ছোট গোষ্ঠীর ওপর নির্ভর করছেন বলে জানিয়েছে এনবিসি নিউজ।

এনবিসি নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা বিভাগের দুই কর্মকর্তা এবং প্রশাসনের একজন জ্যেষ্ঠ সদস্য জানিয়েছেন, ট্রাম্প হোয়াইট হাউসের নির্দিষ্ট কিছু কর্মকর্তার সঙ্গে নিয়মিত আলোচনা করলেও জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদ বা গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর মতামত অনেকাংশে উপেক্ষা করছেন।

ট্রাম্পের কাছের যে কয়েকজন উপদেষ্টা এই আলোচনায় সরাসরি জড়িত, তাদের মধ্যে রয়েছেন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স, হোয়াইট হাউসের চিফ অব স্টাফ সুসি উইলস, ডেপুটি চিফ অব স্টাফ স্টিফেন মিলার, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও অন্তর্বর্তী জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মার্কো রুবিও এবং মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক দূত স্টিভ উইটকফ।

তবে সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়া থেকে বাদ পড়েছেন জাতীয় গোয়েন্দা পরিচালক তুলসি গ্যাবার্ড, যিনি শুরু থেকেই সামরিক পদক্ষেপের বিরোধিতা করে আসছেন। প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথকেও এ আলোচনার কেন্দ্র থেকে দূরে রাখা হয়েছে বলে দাবি উঠলেও পেন্টাগনের মুখপাত্র দাবি করেছেন, এটি সঠিক নয় এবং হেগসেথ প্রতিদিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন।

এই পরিস্থিতিতে ট্রাম্প এখন বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন জেনারেল ড্যান কেইন (চেয়ারম্যান, জয়েন্ট চিফস অব স্টাফ), জেনারেল এরিক কুরিলা (সেন্টকম প্রধান) এবং সিআইএ পরিচালক জন র‌্যাটক্লিফের মতামতে।

হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র ক্যারোলিন লেভিট জানিয়েছেন, আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে প্রেসিডেন্ট চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারেন যে যুক্তরাষ্ট্র ইরান-ইসরায়েল সংঘাতে সরাসরি অংশ নেবে কি না।

তবে ট্রাম্পের সিদ্ধান্ত নেওয়ার পদ্ধতি নিয়ে প্রশাসনের ভেতর ও বাইরের অনেকে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

সূত্রগুলো জানিয়েছে, ট্রাম্প মূলত ফোনকল, ব্যক্তিগত কথোপকথন এবং হোয়াইট হাউসের করিডোরে আলোচনার ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন। এতে অনেক গুরুত্বপূর্ণ সতর্কবার্তা বা বিকল্প মত বাদ পড়ছে।

সম্প্রতি সিরিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা হঠাৎ তুলে নেওয়ার ঘোষণার সময়ও একই রকম আচরণ করেছিলেন ট্রাম্প, যেখানে সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলো কিছুই জানত না। দ্বিতীয় মেয়াদে ট্রাম্প জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের ভূমিকাও উল্লেখযোগ্যভাবে কমিয়ে দিয়েছেন, যেটি ঐতিহাসিকভাবে যুক্তরাষ্ট্রের কৌশল নির্ধারণে কেন্দ্রীয় ভূমিকা রাখে।

রেডিওটুডে নিউজ/আনাম

সর্বশেষ

সর্বাধিক সবার কাছের