সোমবার,

২৩ জুন ২০২৫,

৯ আষাঢ় ১৪৩২

সোমবার,

২৩ জুন ২০২৫,

৯ আষাঢ় ১৪৩২

Radio Today News

ইরানের ইউরেনিয়াম মজুতের কী হয়েছে, জানেন না মার্কিন কর্মকর্তারা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৯:০৩, ২৩ জুন ২০২৫

Google News
ইরানের ইউরেনিয়াম মজুতের কী হয়েছে, জানেন না মার্কিন কর্মকর্তারা

প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মার্কিন বাঙ্কার বাস্টার বোমা ও ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি 'সম্পূর্ণ ও সর্বাংশে ধ্বংস' হয়েছে বলে ঘোষণা দেওয়ার একদিন পরও কর্মসূচিটির প্রকৃত অবস্থা অনেক বেশি অস্পষ্টই আছে। শীর্ষ মার্কিন কর্মকর্তারাও স্বীকার করেছেন, ইরানের কাছে থাকা প্রায়-বোমা-তৈরির-উপযোগী ইউরেনিয়ামের মজুতের কী পরিণতি হয়েছে, সে সম্পর্কে তারা কিছু জানেন না। 

রোববার এবিসি নিউজের এক অনুষ্ঠানে মার্কিন ভাইস-প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স বলেন, 'আগামী সপ্তাহগুলোতে আমরা ওই জ্বালানির বিষয়ে কিছু একটা করার জন্য কাজ করব। এ ব্যাপারে আমরা ইরানিদের সঙ্গে আলোচনা করব।' তিনি এখানে যে ইউরেনিয়ামের কথা বলেছেন, তা দিয়ে ৯-১০টি পারমাণবিক বোমা তৈরি করা যাবে।

তবে ভ্যান্স দাবি করেন, ইরান বর্তমানে যে অবস্থায় আছে, ওই জ্বালানিকে অস্ত্রে রূপান্তর করার সক্ষমতা ব্যাপকভাবে হারিয়েছে ইরান। কারণ, এ জ্বালানিকে কার্যকর অস্ত্রে রূপান্তরিত করার মতো সরঞ্জাম এখন আর তেহরানের হাতে নেই।

অন্যদিকে ইরান স্পষ্ট বলে দিয়েছে, তারা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনায় আগ্রহী নয়। একদিকে বিমান হামলার পরিকল্পনা, অন্যদিকে আলোচনার নামে ধোঁকা দেওয়ার অভিযোগ এনেছে তেহরান ওয়াশিংটনের বিরুদ্ধে। তাছাড়া এই ইউরেনিয়ামের মজুতই এখন ইরানের হাতা থাকা দরকষাকষির অন্যতম হাতিয়ার।

রোববার এক প্রেস ব্রিফিংয়ে প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ ও জয়েন্ট চিফস অভ স্টাফের চেয়ারম্যান ড্যান কেইন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সর্বাত্মক সাফল্যের দাবি এড়িয়ে যান। তারা বলেন, বিমানবাহিনীর বি-২ বোমারু বিমান ও নৌবাহিনীর টমাহক ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা চালানো তিনটি পারমাণবিক স্থাপনার প্রাথমিক মূল্যায়নে দেখা গেছে, 'ব্যাপক ক্ষতি ও ধ্বংস' হয়েছে।

প্রধান লক্ষ্যবস্তু ফোরদো ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্র তৈরি করা হয়েছিল পর্বতের নিচে। স্যাটেলাইট চিত্রে দেখা গেছে, সেখানে একাধিক স্থানে বিশাল গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এক ডজন ৩০ হাজার পাউন্ড ওজনের ম্যাসিভ অর্ডন্যান্স পেনিট্রেটর পাথরের গভীরে এভাবে ফাটল সৃষ্টি করেছে। ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর প্রাথমিক বিশ্লেষণ বলছে, এই কেন্দ্রটিকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করা গেলেও সম্পূর্ণ ধ্বংস করা সম্ভব হয়নি।

তবে গোয়েন্দা তথ্য সম্পর্কে অবগত দুজন ইসরায়েলি কর্মকর্তা জানান, হামলার আগের কয়েক দিনে ইরান ওই স্থাপনা থেকে ইউরেনিয়াম ও যন্ত্রপাতি অন্যত্র সরিয়ে ফেলেছে। 

রেডিওটুডে নিউজ/আনাম

সর্বশেষ

সর্বাধিক সবার কাছের