রংধনু গ্রুপের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলামের লাগামহীন দুর্নীতি ও বিক্রীত জমি বন্ধক রেখে প্রতারণার মাধ্যমে ২৭০ কোটি টাকা ঋণ গ্রহণপূর্বক অর্থ আত্মসাতের অভিযোগের বিষয়ে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) দুদকের এ সিদ্ধান্তের নথি বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী ইবাদত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চে দাখিল করা হয়।
আদালতে এ সংক্রান্ত রিটের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. ইয়ামিন নেওয়াজ খান। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী শাহীন আহমেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক। ‘লাগামহীন দুর্নীতি ও বিক্রিত জমি বন্ধক রেখে প্রতারণার মাধ্যমে ২৭০ কোটি ঋণ গ্রহণপূর্বক অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ’ শীর্ষক দুদকের নথিতে বলা হয়, অভিযোগটি ব্যাংক শাখার নথি (মানিলন্ডারিং ই/আর নং ৬০/২০২৩)-এর সঙ্গে একীভূত করে অনুসন্ধান কার্যক্রম পরিচালনা করার জন্য কমিশন কর্তৃক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এ সিদ্ধান্ত মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে ১৮ এপ্রিল দুদকের পরিচালক (মানিলন্ডারিং) গোলাম শাহরিয়ার চৌধুরী অভিযোগের নথি উপ-পরিচালক মো. নুর-ই-আলমের কাছে পাঠিয়েছেন। দুদকের আইনজীবী শাহীন আহমেদ খান জানান, এখন অভিযোগটি অনুসন্ধানের জন্য কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হবে। তারপর অনুসন্ধান শুরু হবে। আইন ও মানবাধিকার সুরক্ষা ফাউন্ডেশনের প্রধান উপদেষ্টা ড. সুফি সাগর শামস গত ২৬ নভেম্বর ‘রংধনু গ্রুপের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলামের লাগামহীন দুর্নীতি, বিক্রীত জমির দলিল বন্ধক রেখে প্রতারণার মাধ্যমে ২৭০ কোটি টাকা ঋণ গ্রহণপূর্বক অর্থ আত্মসাৎ ও জাল-জালিয়াতির বিষয়ে তদন্তপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ’ করতে দুদক চেয়ারম্যান বরাবরে একটি আবেদন দেন। এ আবেদনের অনুলিপি বাংলাদেশ ব্যাংকেও দিয়েছেন তিনি।
রেডিওটুডে/এমএমএইচ